নগরকান্দায় ১১২১ দরিদ্র রোগী পেলেন ফ্রি চিকিৎসা সেবা

ফরিদপুরের নগরকান্দায় মেডিকেল ক্যাম্প বসিয়ে ১৭ জন এমবিবিএস চিকিৎসকের মাধ্যমে ১১২১ জন দরিদ্র রোগিকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে। উপজেলার পুরাপাড়া ইউনিয়ন অনার্স ক্লাবের উদ্যোগে ব্রাহ্মন ডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই ফ্রি চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। মেডিকেল ক্যাম্পে ১৭ জন এমবিবিএস ও বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, ৬ জন মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং অনার্স ক্লাবের ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবকের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মোট ১১২১ জন রোগী বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পান। এ ছাড়াও ৮৬ জন ব্যক্তির রক্তের গ্রুপ নির্ণয় এবং ২০০ জন ব্যক্তির ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা হয়েছে। ক্যাম্পে ২০টি সুসজ্জিত সেবা বুথ স্থাপন এবং সুন্দর ডেকোরেশনের মাধ্যমে সেবাগ্রহীতাদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করা হয়। আজ রবিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে অনার্স ক্লাবের সভাপতি মো. ওসমান মোল্লা বলেন, গ্রামের মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের এ উদ্যোগটি আমাদের তৃতীয় আয়োজন। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে কাজ করতে চাই। সাধারণ সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দীন বলেন, সদস্যদের স্বেচ্ছাসেবায় এই কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়েছে। সবার সহযোগিতা পেলে আমরা এই উদ্যোগ নিয়মিত করতে পারব।

অনার্স ক্লাব মেধাবৃত্তি পরীক্ষা- ২০২৪

অনার্স ক্লাবের ৫ম মেধাবৃত্তি পরীক্ষা – ২০২৪
পুরাপাড়া ইউনিয়ন অনার্স ক্লাব পঞ্চমবারের মতো মেধাবৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করতে যাচ্ছে। এ পরীক্ষা এলাকার শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ ঘটাতে এবং শিক্ষাকে আরও উৎসাহিত করতে পরিচালিত হচ্ছে।
পরীক্ষার তারিখ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
সময়: সকাল ৯.৩০টা থেকে ১০.৩০টা
নিবন্ধন ফরম বিতরণ ও জমাদানের সময়সীমা:
২২ নভেম্বর ২০২৪ থেকে ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
নিবন্ধন ফরম পাওয়া যাবে:
অনার্স ক্লাব গণগ্রন্থাগার
অতিরিক্ত তথ্যের জন্য যোগাযোগ:
ফোন: ০১৬৭০৪৬১৬০০
ওয়েবসাইট: www.puhclub.org
এই মেধাবৃত্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ৩য় থেকে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ২০ জনকে বৃত্তি প্রদান করা হবে। বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ের উপর ভিত্তি করে পরীক্ষাটি নেওয়া হবে।
এ উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করতে এবং সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সবার সহযোগিতায় এ আয়োজন সফল করতে পুরাপাড়া ইউনিয়ন অনার্স ক্লাব সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

“বই পড়‌লেই উপহার”

পাঠক বৃদ্ধি ও বৃক্ষ‌রোপন কার্যক্রম জোড়দার করার জন্য আমরা মে মা‌সে বি‌শেষ উপহার ঘোষণা করেছিলাম। প্রচন্ড গর‌মে সবাই যখন ফেসবুকে গাছ লাগা‌চ্ছিলো তখন আমরা‌ ঘোষনা দিলাম গ্রন্থাগা‌রে বই পড়‌লেই গা‌ছের চারা উপহার দি‌বো। সেই ঘোষণায় সাড়া দি‌য়ে মে মাস জু‌ড়ে ৬৫ জন পাঠক আমা‌দের গ্রন্থাগা‌রে বই পড়েছে। তাদের ম‌ধ্যে প্রথম ১০ জন‌কে ১০‌টি করে গা‌ছের চা‌রা এবং এবং ১‌টি করে বই উপহার দি‌য়েছি। এছাড়াও উপস্থিত সকল‌ পাঠক‌কে ৩‌টি করে গাছের চা‌রা উপহার প্রদান করা হ‌য়ে‌ছে।
এ আ‌য়োজ‌নে ১০ রক‌মের মোট ২৩৫‌টি চা‌রা পাঠক‌দের ম‌ধ্যে বিতরণ করা হ‌য়ে‌ছে। (গোলাপ, কাঠ বাদাম,আমল‌কি, চালতা, কাঁঠাল, ডা‌লিম, মাল্টা, জাম, কদ‌বেল এবং পেয়ারা)
(‌বি.দ্র: গ্রন্থাগারের রে‌জিস্ট্রারের তথ্য অনুযায়ী পাঠকগণ ৪৫০‌টি চা‌রা পা‌ওয়ার কথা থাক‌লেও সামর্থ না থাকায় তা আমরা ক‌মি‌য়ে ২৩৫ এ আন‌ছি)
‌বি‌শেষ আ‌বেদন: কেউ স্পন্সর কর‌লে ২০২৩ সা‌লে আমাদের ক্লা‌বের হ‌য়ে যারা রক্তদান করেছেন, তা‌দের সবাই‌কে গা‌ছে‌র চা‌রা উপহার দি‌তে চাই।

বই পড়‌লেই উপহার”প্রতি‌যোগিতায় পুরস্কার প্রাপ্ত‌দের না‌মের তা‌লিকা

সবাই মি‌লে প‌ড়ি বই, আ‌লো‌কিত মানুষ হই
পুরাপাড়া বঙ্গবন্ধু গণগ্রন্থাগার
পুরাপাড়া বঙ্গবন্ধু গণগ্রন্থাগার এর অনার্স ক্লা‌বের ও‌য়েভসাই‌টে প্রকাশ করার হ‌য়ে‌ছে। পুরস্কার প্রাপ্ত সকল পাঠক‌কে আগামী ১৫ জুন সকাল ১০টায় গ্রন্থাগা‌রে উপস্থ‌িত হয়ে পুরস্কার গ্রহ‌ণের অনু‌রোধ কর‌ছি।

প্রজেক্ট ”শিখো এবং আয় করো”

* প্রকল্পের শিরোনাম             ”শিখো এবং আয় করো”
* প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা এই প্রকল্পের মাধ্যমে বেকার যুবদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। প্রক্ষিণার্থীরা প্রশিক্ষণ গ্রহণকালীন স্বল্পমূল্যে সাধারণ মানুষকে আইসিটি, কম্পিউটার ও অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন সেবা প্রদান করে আয়ও করবে।
বিদ্যমান সমস্যাসমূহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা  প্রতিষ্ঠান থেকে অধ্যয়ন শেষে অনেক ছেলেমেয়ে দক্ষতার অভাবে বেকারত্বের শিকার হয় এবং গ্রামাঞ্চলে সাধারণ মানুষ তথ্য প্রযুক্তি সেবা সঠিকভাবে পায় না বা পেতে হয়রানির শিকার হয়। ফলে সরকারের গৃহিত স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।
যাদের উদ্দেশ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতী ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে অপারগ  সাধারণ মানুষের জন্য  প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রকল্পের সার্বিক উদ্দেশ্য ১। বেকার যুবক যুবতীদের আসিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করা;

২। সাধারণ মানুষের জন্য আসিটি সেবা সহজলভ্য করা;

৩। ত্য প্রযক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে ফ্রিল্যান্সার তৈরি করা যাদের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ করা সম্ভব হবে;

৪। স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মান লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সহজ করা;

৫। গ্রাম পর্যায়ে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সেবা পৌছে দেওয়া।

* প্রকল্পের সম্ভাব্য ফলাফল/অর্জন/টার্গেট/আউটপুট ৫ বছরের মধ্যে এ অঞ্চলের ৩০০ জন যুবককে তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলে তাদের আত্মকর্মসংস্থানের  ব্যবস্থা করা হবে। উপজেলার প্রান্তিক মানুষের দোরগোড়ায় আইসিটি সেবা পৌছানোর মাধ্যমে সরকার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নগরকান্দা উপজেলাকে মডেল হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
* প্রকল্পের সম্ভাব্য মেয়াদ ৫ বছর
সংক্ষিপ্ত কর্মপরিকল্পনা  এই প্রকল্পের মাধ্যমে বেকার যুবদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। প্রক্ষিণার্থীরা প্রশিক্ষণ গ্রহণকালীন স্বল্পমূল্যে সাধারণ মানুষকে আইসিটি, কম্পিউটার ও অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন সেবা প্রদান করে আয়ও করবে।
প্রস্তাবিত বাজেট প্রস্তাবিত প্রকল্পের মোট ব্যয়: ৭,৫০,০০০ টাকা (কথায়: পঁচাত্তর লাখ টাকা মাত্র)

প্রস্তাবিত তহবিলের উৎস টাকা খাতওযারি সম্ভাব্য ব্যয় বিভাজন টাকা
দাতা সংস্থা বা কোন সহযোগী প্রতিষ্ঠান থেকে সহযোগিতা ৫,০০,০০০.০০ কম্পিউটার ক্রয় (১০টি) ৪৫০,০০০.০০
অনার্স ক্লাবের অনুদান ১,০০,০০০.০০ কম্পিউটার টেবিল  (১০টি) ৫০,০০.০০
সংস্থার নিজস্ব তহবিল ১০০,০০০.০০ চেয়ার  (১০টি) ১০,০০০.০০
স্থানীয় অনুদান ৫০,০০০.০০ ইন্টারনেট সামগ্রী ক্রয় ১০,০০০.০০
    স্টেশনারি সামগ্র ক্রয় ২০,০০০.০০
    প্রশিক্ষকের সম্মানী ৭০,০০০.০০
    স্মাট টিভি (বড় মনিটর) ১টি ৭৫,০০০.০০
    প্রিন্টার ক্রয় ১টি ২৫,০০০.০০
    বিবিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ সামগ্রী ক্রয় ৩০,০০০.০০
    আনুসাঙ্গীক খরচ ১০,০০০.০০
মোট ৭,৫০,০০০.০০ মোট ৭৫০,০০০.০০

প্রস্তাবিত প্রকল্প হতে প্রত্যাশিত বার্ষিক আয়ের পরিমাণ  ৭৫,০০০ এবং উক্ত আয় ভবিষ্যতে নিমোক্ত ভাবে ব্যয় করা হবে:

ক. সংস্থার উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয়                                : ২৫,০০০টাকা

ক. দরিদ্র জনগোষ্টির মধ্যে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা        :  ১৫,০০০ টাকা

গ. প্রশিক্ষণ ও আয়বর্ধনমূলক প্রকল্প গ্রহণ                      : ২০,০০০ টাকা

ঘ. পরিবেশ রক্ষায় বৃ্ক্ষরোপন                                        : ১৫,০০০ টাকা

মোট:                                                 : ৭৫,০০০ টাকা

কর্মপরিকল্পনার উল্লেখযোগ্য ধাপসমূহ ধাপ-১: প্রথম ধাপে ১০জনকে তথ্য প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ প্রদান করে প্রশিক্ষক এবং দক্ষ কর্মী হিসেবে তৈরি করা হবে। ইতোমধ্যে এ ধাপ শেষ হয়েছে। ১০ জন দক্ষ কর্মীদের নামের তালিকা জীবন বৃত্তান্তসহ সংযুক্ত করা হয়েছে।

ধাপ-২: প্রশিক্ষিত দক্ষ কর্মীগণ নিয়মিত প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করবে যেখান থেকে নিয়মিত নতুন নতুন দক্ষ জনশক্তি তৈরি হবে, তারা নিজস্ব মূলধন বা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে ঋণ সহযোগিতা নিয়ে আত্মকর্মী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে এবং মানুষকে এ তথ্য প্রযুক্তি সেবা দিবে, ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করবে। তাছাড়া নিজেদের দক্ষতা দিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করবে। এসব কাজ স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মানে সহযোগিতা করবে।

ধাপ-৩: পর্যায়ক্রমে উপজেলার সকল যুবদের এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে এবং আইসিটি সেবা সাধারন মানুষের জন্য সর্বোচ্চ সহজলভ্য করার মাধ্যমে একটি  মডেল এবং স্মার্ট উপজেলা হিসেবে নগরকান্দাকে গড়ে তোলা হবে।

* কি কারণে প্রকল্পটি বিশেষ অনুদান পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে এবং বেকার সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা পালন করা এবং দরিদ্র জনগোষ্টির দোড়গড়ায় তথ্য প্রুযুক্তি সেবা নিশ্চিত করবে।
* প্রকল্পে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সংশ্লিষ্টতা কিরূপ প্রকল্পটি  শতভাগ তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর।
প্রকল্পটি কীভাবে টেকসই হবে- ব্যাখ্যা করুন প্রকল্পটি একটি জনবান্ধব টেকসই প্রকল্প হবে। কারণ এই প্রকল্পের মাধ্যমে বেকার যুবদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। প্রক্ষিণার্থীরা প্রশিক্ষণ গ্রহণকালীন স্বল্পমূল্যে সাধারণ মানুষকে আইসিটি কম্পিউটার ও অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন সেবা প্রদান করে আয়ও করবে। আয়ের কিছু অংশ প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ করবে যা দিয়ে প্রতিষ্ঠান চলমান থাকবে এবং প্রযোজনীয় উন্নয়ন হবে।
প্রকল্পটি থেকে জনগণ কীভাবে উপকৃত হবেন প্রায় ৩০০জন বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের মাধমে  ৩০০টি পরিবারের স্বচ্ছলতা তৈরি হবে। তাছাড়া যুব সমাজের বেকারত্ব হ্রাসের মাধ্যমে নানারকম সামাজিক সমস্যার সমাদান হবে। ভূমি সেবা, বিভিন্ন ধরণের অনলাইন নিবন্ধন, প্রবাসীদের জন্য বিশেষ সহযোগিতা সেল, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সব ধরণের আবেদন বিনামূল্যে করা হবে, করোনা মহামারির মতো বিভিন্ন ভ্যাকসিন/টিকার নিবন্ধন কার্যক্রমে সহযোহিতা করা হবে।
পরিবীক্ষণ পদ্ধতি এবং প্রতিবেদন দাখিল অনার্স যুব উন্নয়ন ফাউন্ডেশন একটি নিবন্ধতি সংস্থা। প্রতি বছর আর্থিক  রিপোর্ট প্রদান করে এবং যুব উন্নয়ন অফিসারের মাধ্যমে অডিট প্রতিবেদন দাখিল করা হবে ।
কি কি ঝুঁকির সম্ভাবনা আছে এবং কীভাবে তা নিরসন করা হবে? আমাদের নিজস্ব কোন জমি বা অফিস নেই, আমাদের কার‌্যক্রম সম্পূর্ন ভাড়া বাড়িতে পরিচালিত হবে যা কিছুটা সমস্যা তৈরি করতে পারে। এছাড়া অন্য কোন ঝুকি নাই। পরিকল্পনা বাস্তাবায়ন কালে এ প্রকল্প থেকে স্বল্প পরিসরে অর্থ উপার্জন হবে, যার মাধ্যমে এটি একবার চালু করতে পারলে টেকসই হবে এবং সরকার ও স্থানীয় দানশীল মানুষের সহযোগিদায় ভবিষ্যতে স্তঅয়ী ভবনসহ অবকাঠামো নির্মাণ করা সম্ভব হবে।
দারিদ্র্য নিরসনে প্রকল্পটির ভূমিকা কি হবে প্রায় ৩০০জন বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের মাধমে  ৩০০টি পরিবারের স্বচ্ছলতা কৈতরি হবে তাছাড়া যুব সমাজের বেকারত্ব হ্রাসের মাধ্যমে নানারকম সামাজিক সমস্যা সমাদান হবে।
প্রকল্পটি কত সংখ্যক সুবিধা বঞ্চিত নারীর কাজে লাগবে (%)  ৩০ শতাংশের অধিক নারীদের এই প্রকল্পের আওতায় তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
প্রকল্পটি কত সংখ্যক প্রতিবন্ধিদের কাজে আসবে (%) প্রকল্পটির এলাকার প্রায় ৫ শতাংশ  প্রতিবন্ধিদের কাজে আসবে।
এই প্রকল্পটির মাধ্যমে পরিবেশের উপর কি ইতিবাচক প্রভাব পড়বে প্রতি বছর প্রকল্প থেকে আয়ের একটি নিদিষ্ট অংশ পরিবেশ উন্নয়নে ব্যয় করা হবে। যেমন: বৃক্ষরোপন এবং পরিবেশ দূষণ বিরোধী সচেতনামূলক বিভিন্ন প্রোগ্রামের আয়োজন করা হবে।

“শেষ হল পুরাপাড়া ইউনিয়ন অনার্স ক্লাব এর ব্যতিক্রমধর্মী নৌ শোভাযাত্রা”

গতকাল পুরাপাড়া ইউনিয়ন অনার্স ক্লাব এর উদ্যোগে এক ব্যতিক্রমধর্মী নৌ শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। মূলত মাদক, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, চায়না জাল ও ইলেকট্রিক শক দিয়ে মাছ ধরার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ইউনিয়নব্যাপী বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ নৌ শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। শনিবার সকাল ১০টায় অনার্স ক্লাব প্রতিষ্ঠিত এবং পরিচালিত পুরাপাড়া বঙ্গবন্ধু গ্রন্থগার থেকে ব্রাহ্মণডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত সচেতনতামূলক র্যালী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপি কার্যক্রমের শুরু হয়। র্যালীতে একই ধরণের টি-শার্ট পরিহিত অনার্স ক্লাবে ৫০ জনেরও অধিক সদস্য এবং স্থানীয় লোকজন অংশগ্রহণ করেন। ঐতিহাসিক ব্রাহ্মণডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তার পাশে একটি বট গাছের চারা রোপণের মাধ্যমে শুরু হয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির । উল্লেখ্য কয়েক বছর আগে ব্রাহ্মণডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের অত্যন্ত প্রাচীন ও বহু স্মৃতি- বিজড়িত বট গাছটি কেটে ফেলা হয়। পরবর্তীতে স্কুলে ১০০টি এবং পুরাপাড়া থেকে ব্রাহ্মণডাঙ্গা রোডে ১০০টি বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ রোপন করা হয়। এছাড়া ব্রাহ্মনডাঙ্গা-দফা নতুন রাস্তায় ১২০টি তালের চারা এবং ১০০টি জারুল গাছের চারা রোপন করা হয়। বিকেলে পুরাপাড়া ইউনিয়ন এর ঐতিহ্যবাহী কাজলডাঙ্গা বিলে নৌ শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। এতে পুরাপাড়া ইউনিয়ন অনার্স ক্লাব এর সকল সদস্য অত্যন্ত স্বতঃস্ফূর্ততার সাথে অংশগ্রহন করেন। নৌ শোভাযাত্রাটি পুরাপাড়া বাজার থেকে শুরু হয়ে কাজুলী বাজার ও মজলিসপুর হয়ে মেহেরদিয়া মোড়ে এসে শেষ হয়। এসময় মাদক, চায়না জাল এবং ইলেকট্রিক শক দিয়ে মাছ ধরার ক্ষতিকর দিক এবং দেশীয় মাছ রক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে লিফলেট বিতরণ ও মাইকিংসহ বিভিন্ন সচেতনাতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। কাজুলী বাজার সংলগ্ন কাজলডাঙ্গা বিলের পাড়ে ১০০ তালবীজ বপন এবং কাজুলী বাজার ও মজলিসপুর মন্দির প্রাঙ্গনে স্বল্প পরিসরে দুটি সচেতনতামূলক পথসভার আয়োজন করা হয়। সভায় সিজিএ বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট জনাব মামুনুর রশিদ এবং অনার্স ক্লাবের সদস্যবৃন্দ তাদের বক্তব্যে স্থানীয় জনগণকে মাদক, দাঙ্গা হাঙ্গামা কাইজা ও চায়না জাল দিয়ে মাছ শিকারের কুফলসহ অনার্স ক্লাব গৃহিত শিক্ষা সংস্কৃতি ও পরিবেশ উন্নয়ন বিষয়ক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন। উল্লেখ্য, “পুরাপাড়া ইউনিয়ন অনার্স ক্লাব “ পুরাপাড়া ইউনিয়নের শিক্ষিত সচেতন তরণদের নিয়ে গড়া সংগঠন। মানবিক সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে তারা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। এই সংগঠনটি ২০২১ সালের ১৭ই মার্চ তারিখে পুরাপাড়া বাজারে “পুরাপাড়া বঙ্গবন্ধু গণগ্রন্থাগার” নামে একটি পাবলিক লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা করে। “পুরাপাড়া ইউনিয়ন অনার্স ক্লাব” করোনাকালীন সময়ে ত্রাণ ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ এবং ব্যাপক জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে এলাকার মানুষের কাছে বিপুল প্রশংসা এবং গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করে। সংগঠনটি ২০২১ সালে পরিবেশ রক্ষায় ১০ হাজার তালবীজ বপণের কর্মসূচি গ্রহণ করে। তৎপরবর্তী সময়ে এ সংগঠন স্থানীয় ছাত্রছাত্রীদের মেধা যাচাইয়ের মাধ্যমে মেধা বৃত্তি প্রদান করে এবং নিয়মিতভাবে মেডিক্যাল ক্যাম্প পরিচালনার মাধ্যমে এলাকার বিপুল জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। এ সংগঠনের সদস্যবৃন্দ জানান, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত মানবিক সমাজ বিনির্মাণে তাদের এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। সরকার এবং সমাজের বিত্তবান মানুষের আর্থিক সহযোগিতা পেলে এ সংগঠনটির কার্যক্রমে আরো গতি আসবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।

বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি ও ব্লাড ডোনার সংগ্রহ কার্যক্রম

১৫ই আগস্ট ২০২৩ তারিখ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমন এর ৪৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে, নগরকান্দা উপজেলায় অনার্স ক্লাব যুব উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এবং অনার্স ক্লাব ব্লাড ব্যাংক এর সহযোগিতায় বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি ও ব্লাড ডোনার সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনা করে এক ঝাক তরুণ তরুণী। উক্ত কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জনাব শাহদাব আকবর চৌধুরী, এমপি। এছাড়া ও আমাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাবৃন্দ। কার্যক্রম পরিচালনায়: পুরাপাড়া ইউনিয়ন অনার্স ক্লাবপুরাপাড়া ইউনিয়ন অনার্স ক্লাব
+3