গঠনতন্ত্র

পুরাপাড়া বঙ্গবন্ধু গণগ্রন্থাগার

পুরাপাড়া,নগরকান্দা, ফরিদপুর

গঠনতন্ত্র

ঠিকানাঃ

লাইব্রেরি রোড ,পুরাপাড়া বাজার, পুরাপাড়া, নগরকান্দা, ফরিদপুর।

মোবাইল: ০১৭১৭-৮৬০৫৮০

E-mail:purapara.uhc@gmail.com

Website: www.puhclub.org

সূচিপত্র

অনুচ্ছেদ বিবরণ পৃষ্ঠা নং
অনুচ্ছেদ-১ মূখবদ্ধ
অনুচ্ছেদ-২ প্রতিষ্ঠানের নাম,ঠিকানা ও প্রতিষ্ঠাকাল
অনুচ্ছেদ-৩ প্রতিষ্ঠানের প্রকৃতি
অনুচ্ছেদ-৪ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
অনুচ্ছেদ-৫ স্লোগান ও মনোগ্রাম
অনুচ্ছেদ-৬ কর্মবছর
অনুচ্ছেদ-৭ সদস্য
অনুচ্ছেদ-৮ সদস্য পদ বাতিল
অনুচ্ছেদ-৯ সদস্যদের অগ্রাধিকার ও কর্তব্য  ৬
অনুচ্ছেদ-১০ উপদেষ্ঠা পরিষদ
অনুচ্ছেদ-১১ কার্যনির্বাহী পরিষদের দায়িত্ব ও ক্ষমতা
অনুচ্ছেদ-১২ উপদেষ্টা পরিষদ গঠন
অনুচ্ছেদ-১৩ কার্যনির্বাহী পরিষদ
অনুচ্ছেদ-১৪ পদত্যাগ/পদশূন্য
অনুচ্ছেদ-১৫ সভাসমূহ
অনুচ্ছেদ-১৬ কোরাম
অনুচ্ছেদ-১৭ অর্থ ব্যবস্থাপনা
অনুচ্ছেদ-১৮ হিসাব নিরীক্ষা
অনুচ্ছেদ-১৯ গ্রন্থাগারের সদস্য হওয়া ও বই ধার দেওয়া সংক্রান্ত  নীতিমালা
অনুচ্ছেদ-২০ গঠনতন্ত্র সংশোধন
অনুচ্ছেদ-২১ প্রতিষ্ঠানের বিলুপ্তি

 

“পুরাপাড়া বঙ্গবন্ধু গণগ্রন্থাগার” এর গঠনতন্ত্র

“The Constitution of Purapara Bangabandhu Public Library” (PBPL)  

অনুচ্ছেদ-১: মুখবন্ধ

অন্তহীন জ্ঞানের আঁধার হল বই, আর বইয়ের আবাসস্থল হলো গ্রন্থাগার বা লাইব্রেরি। মানুষের হাজার বছরের লিখিত-অলিখিত সব ইতিহাস ঘুমিয়ে আছে একেকটি গ্রন্থাগারের ছোট ছোট তাকে। গ্রন্থাগার হলো কালের খেয়াঘাট, যেখান থেকে মানুষ সময়ের পাতায় ভ্রমণ করে। প্রাচীন শিলালিপি থেকে আধুনিক লিপির গ্রন্থিক স্থান হল লাইব্রেরি। একটি গ্রন্থাগার মানব জীবনকে যেমন পাল্টে দেয় তেমনি আত্মার খোরাকও যোগায়। তাই গ্রন্থাগারকে বলা হয় শ্রেষ্ঠ আত্মীয় যার সাথে সবসময় ভালো সম্পর্ক থাকে। আর জ্ঞানচর্চা ও বিকাশের ক্ষেত্রে গ্রন্থাগারের ভূমিকা অনন্য।

মানুষ বুদ্ধিবৃত্তিক জীব। বুদ্ধি ও মননের অনুশীলনের প্রয়োজনে মানুষ জ্ঞান আহরণ করে। মনীষীদের মতে এই জ্ঞান আহরণের দুটো উপায়। একটি দেশভ্রমণ, অন্যটি গ্রন্থপাঠ। দেশভ্রমণ ব্যয় ও সময় সাপেক্ষ বিধায় সবার জন্য সম্ভব নয়। সে তুলনায় জ্ঞান আহরণের জন্য গ্রন্থপাঠ প্রকৃষ্টতম উপায়। কিন্তু জ্ঞানভান্ডারের বিচিত্র সমারোহ একজীবনে সংগ্রহ করা ও পাঠ করা সম্ভব হয় না। এই অসাধ্য সাধন কিছুটা হলেও সম্ভব হয় গ্রন্থাগারের মাধ্যমে।  গ্রন্থাগারের বিশাল সংগ্রহশালায় নিজের রুচি ও মনের চাহিদা অনুযায়ী গ্রন্থ পাওয়া যায়। এই কারণে জ্ঞানার্জনের জন্য গ্রন্থাগার ব্যবহার অত্যন্ত প্রয়োজন। এছাড়া শিক্ষার প্রসারের জন্য এবং স্বশিক্ষিত হওয়ার জন্য গ্রন্থাগারের প্রয়োজন হাসপাতালের চাইতে কম নয়। আমাদের দেশে শিক্ষার বর্তমান অবস্থায় লাইব্রেরি হচ্ছে একপ্রকার মনের হাসপাতাল। এখানে লোক স্বেচ্ছায় স্বাচ্ছন্দ্য চিত্তে স্বশিক্ষিত হবার সুযোগ পায়। নিজের শক্তি ও রুচি অনুসারে নিজের মনকে নিজের চেষ্টায় আত্মার রাজ্যে জ্ঞানের পথে এগিয়ে নিতে উদ্বুদ্ধ হয়।

”সবাই মিলে পড়ি বই, আলোকিত মানুষ হই’ এই স্লোগান কে সামনে রেখে পুরাপাড়া ইউনিয়ন অনার্স ক্লাবের নিজস্ব উদ্যোগে গঠিত হয়েছে পুরাপাড়া বঙ্গবন্ধু গণগ্রন্থাগার। পুরাপাড়া ইউনিয়নের মানুষের জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চার জন্য এ প্রতিষ্ঠান তৈরি হলেও তা বাংলাদেশের সকলের জন্য উম্মুক্ত রাখা হয়েছে।

অনুচ্ছেদ-২: প্রতিষ্ঠানের নাম,ঠিকানা ও প্রতিষ্ঠাকাল

ক) নাম          :

বাংলায়                   : পুরাপাড়া বঙ্গবন্ধু গণগ্রন্থাগার

ইংরেজিতে : “Purapara Bangabandhu Public Library”

খ) ঠিকানা       : লাইব্রেরি রোড, পুরাপাড়া বাজার, উপজেলা: নগরকান্দা, জেলা: ফরিদপুর

গ) প্রতিষ্ঠাকাল : 17 মার্চ ২০২১ খ্রি.

অনুচ্ছেদ-৩: প্রতিষ্ঠানের প্রকৃতি

পুরাপাড়া ইউনিয়ন অনার্স ক্লাবের উদ্যোগে গঠিত একটি বেসরকারি পাঠাগার কেন্দ্রীক ধর্ম নিরপেক্ষ ও অরাজনৈতিক উদারচিত্ত বিকাশের প্রতিষ্ঠান।

অনুচ্ছেদ-৪: লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

ক) পরিশীলিত জীবন গঠনের উদ্দেশ্যে সমৃদ্ধিশালী পাঠাগার স্থাপন ও জনগণকে পাঠক সেবা প্রদান।

খ) এলাকার আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তা প্রদান করা।

গ) এলাকাবাসীর বই পড়ার অভ্যাস তৈরির মাধ্যমে সুস্থ অবসর-বিনোদনের সুযোগ সৃষ্টি করা।

ঘ) সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করা।

ঙ) এলাকার জনগণের মধ্যে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য, পরিবেশ সংরক্ষণ ইত্যাদি বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

চ) সন্ত্রাস, মাদক, অপসংস্কৃতি ও কুসংস্কারের বিপরীতে সুস্থ্য সাংস্কৃতিক চর্চা ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলা।

অনুচ্ছেদ-৫: স্লোগান ও মনোগ্রাম

স্লোগান:

বাংলায়   : “সবাই মিলে পড়ি বই, আলোকিত মানুষ হই”

ইংরেজিতে: “Let’s read all together and be an enlightened man”

মনোগ্রাম:

গ্রন্থাগারের উদ্দেশ্য ও আদর্শের সাথে সংগতি রেখে একটা উপযুক্ত মনোগ্রাম/প্রতীক থাকবে।

অনুচ্ছেদ-৬: কর্ম বছর

প্রতিষ্ঠানের কর্মবছর হবে ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

অনুচ্ছেদ-৭: সদস্য

প্রতিষ্ঠানে পাঁচ ধরনের সদস্য থাকবেন।

১। উদ্যোক্তা এবং প্রতিষ্ঠাতা সদস্য

২। উপদেষ্টা সদস্য

৩। আজীবন সদস্য এবং দাতা সদস্য

৪। সাধারণ সদস্য

৫। শিশু সদস্য

অনুচ্ছেদ-৭(১): উদ্যোক্তা এবং প্রতিষ্ঠাতা সদস্য

(ক) যে বা যারা এই সংগঠন প্রতিষ্ঠার মহতী উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন তিনি বা তারা “পুরাপাড়া বঙ্গবন্ধু গণগ্রন্থাগার” এর উদ্যোক্তা সদস্য হিসেবে বিবেচিত হবেন।

(খ) যে সকল ব্যাক্তিবর্গ “পুরাপাড়া বঙ্গবন্ধু গণগ্রন্থাগার” এর প্রতিষ্ঠার সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন, অর্থ্যাৎ যাদের শ্রম,সময়,অর্থ ও মেধার উপর এই গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠিত, তাহারা গ্রন্থাগারের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে বিবেচিত হবেন।

(গ) গ্রন্থাগারের উদ্যোক্তা এবং প্রতিষ্ঠাতা সদস্যবৃন্দ সকল সময়ে গ্রন্থাগার কর্তৃক উচ্চ মর্যাদা প্রাপ্ত হবেন এবং কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠনে  ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।

অনুচ্ছেদ-৭(২): উপদেষ্টা সদস্য

ক) এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সুশিক্ষিত লোকজন নিয়ে একটা উপদেষ্টা পরিষদ থাকবে।

খ) নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন বা আপডেট করবেন।

গ) উপদেষ্টা পরিষদের সদ্যেগণ কার্যনির্বাহী পরিষদের কমিটি গঠনে ভোট দিতে পারবেন না, তবে কেউ যদি আজীবন সদস্য হয় তাহলে নির্বাহী পরিষদে ভোট দিতে পারবেন।

অনুচ্ছেদ-৭(৩): আজীবন এবং দাতা সদস্য

ক) বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক গঠনতন্ত্রের শর্তাদি পালন সাপেক্ষে গ্রন্থাগারে এককালীন কমপক্ষে ৫০০০ টাকা জমা দিলে প্রতিষ্ঠানের দাতা সদস্য হতে পারবেন।

খ) গ্রন্থাগারের উন্নয়ন,স্থায়িত্ব ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে গ্রন্থাগারে নির্ধারিত হারে মাসিক চাঁদা প্রদান করে আজীবন সদস্য হতে পারবেন।

গ) আজীবন এবং দাতা সদস্যের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা সর্বনিম্ন এসএসসি পাশ, তবে বিশেষ পরিস্থিতে এই শর্ত শিথিলযোগ্য।

ঘ) আজীবন এবং দাতা সদস্যগন কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।

অনুচ্ছেদ-৭(৪): সাধারণ সদস্য

ক) প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সামনে রেখে বাংলাদেশের যেকোন নাগরিক (১৮ বছরের উপরে) এ প্রতিষ্ঠানের সাধারণ সদস্য হতে পারবেন।

খ) সদস্য হতে ইচ্ছুক যেকোন ব্যক্তি দুইকপি ছবি ও জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপিসহ নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে।

গ) প্রত্যেক সাধারণ সদস্যের ভর্তি ফি ২০ টাকা এবং ধারে বই পড়তে এককালীন নিরাপত্তা জামানত (ফেরতযোগ্য) হিসেবে ২০০/-(দুইশত) টাকা প্রদান করতে হবে।

অনুচ্ছেদ-৭(৫) শিশু -কিশোর সদস্য

ক) প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সামনে রেখে বাংলাদেশের যেকোন নাগরিক (১৮ বছরের নিচে) এ প্রতিষ্ঠানের শিশু ও কিশোর সদস্য হতে পারবেন।

খ) সদস্য হতে ইচ্ছুক যে কোন ব্যক্তি দুই কপি ছবি ও জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি সহ নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে।

গ) প্রত্যেক মিশু- কিশোর সদস্যের ভর্তি ফি ২০ টাকা এবং ধারে বই পড়তে এককালীন নিরাপত্তা জামানত (ফেরতযোগ্য) হিসেবে ১০০টাকা/-(একশত) টাকা প্রদান করতে হবে।

ঘ) প্রত্যেক শিশু- কিশোর সদস্যের বয়স আঠারো বছর পূর্ণ হলে সে সক্রীয়ভাবে সাধারণ সদস্য হয়ে যাবে তবে ধারে বই পড়তে এককালীন নিরাপত্তা জামানত (ফেরতযোগ্য) হিসেবে ২০০টাকা/-(দুইশত) টাকা প্রদান করতে হবে।

অনুচ্ছেদ-৮: সদস্য পদ বাতিল

১। শিশু -কিশোর সদস্য

ক) প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ ও উদ্দেশ্য পরিপন্থী (অনুচ্ছেদ-৪) যেকোন কাজে লিপ্ত থাকলে কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা করে করে যে কোন সদস্যের সদস্যপদ  বাতিল করা যাবে।

খ) কোন সদস্য বই ধার গ্রহণ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বা পরবর্তীতে তাগিদ দেয়ার পরও বই ফেরৎ না দিলে কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় সিন্ধান্ত গ্রহণ করে তার সদস্য পদ বাতিল ও জামানত বাজেয়াপ্ত করা করা যাবে।

গ) কোন শিশু কিশোর সদস্যের বয়স ১৮(আঠার) বছর হলে তার সদস্য পদ সাধারণ সদস্য পদে নবায়ন করতে হবে, অন্যথায় তার সদস্য পদ বাতিল বলে গন্য হবে।

২) সাধারণ সদস্য

ক) প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ ও উদ্দেশ্য পরিপন্থী (অনুচ্ছেদ-৪) কোন কাজে লিপ্ত থাকলে কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা করে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোটে যে কোন সদস্যের সদস্যপদ বাতিল করা যাবে।

খ) কোন সদস্য বই ধার গ্রহণ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বা পরবর্তীতে তাগিদ দেওয়ার পরও বই ফেরৎ না দিলে কার্যনির্বাহী পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক তার সদস্য পদ বাতিল ও জামানত বাজেয়াপ্ত করা যাবে।

৩) আজীবন এবং দাতা সদস্য

ক) প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ ও উদ্দেশ্য পরিপন্থী (অনুচ্ছেদ-৪) কোন কাজে লিপ্ত থাকলে কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা করে দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোটে যে কোন সদস্যের সদস্যপদ বাতিল করা যাবে। এ ক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সহ অভিযোগপত্র দাখিল করতে হবে।

৪) উপদেষ্টা সদস্য

প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ ও উদ্দেশ্য পরিপন্থী (অনুচ্ছেদ-৪) যেকোন কাজে লিপ্ত থাকলে কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা করে দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোটে যে কোন সদস্যের সদস্যপদ বাতিল করা যাবে। এ ক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সহ অভিযোগপত্র দাখিল করতে হবে।

৫) কার্যনির্বাহী সদস্য

প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ ও উদ্দেশ্য পরিপন্থী (অনুচ্ছেদ-৪) যেকোন কাজে লিপ্ত থাকলে কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা করে দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোটে যে কোন সদস্যের সদস্য পদ বাতিল করা যাবে। এ ক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সহ অভিযোগপত্র দাখিল করতে হবে।

অনুচ্ছেদ-৯: সদস্যদের অগ্রাধিকার ও কর্তব্য

ক) প্রতিষ্ঠানের সকল সদস্য প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কাজে সমঅধিকার ভিত্তিতে অংশগ্রহণ করবে।

খ) গ্রন্থাগারে পাঠক কক্ষসমূহ সদস্যগণ ছাড়াও এলাকার সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

গ) গ্রন্থাগার থেকে ধারে বই পড়ার সুবিধাটি শুধুমাত্র সদস্যগণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। তবে পরবর্তী কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় অনুমোদন সাপেক্ষে এ নিয়ম পরিবর্তন করা যেতে পারে।

ঘ) পৃথকভাবে প্রণীত নীতিমালার আওতায় বই ধার সেবা চালু থাকবে।

অনুচ্ছেদ-১০: উপদেষ্টা পরিষদ

ক) অনুচ্ছেদ ৭(১) এর বিধান অনুযায়ী লাইব্রেরির জন্য নিম্নরূপ কাঠামো অনুয়ায়ী একটি উপদেষ্টা পরিষদ থাকবে।

১) প্রধান উপদেষ্টা                                        —          ১ জন

২) উপদেষ্টা                                               —          প্রয়োজনীয় সংখ্যক

খ) উপদেষ্টা পরিষদ লাইব্রেরি পরিচালনার কার্যনির্বাহী পরিষদকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিবেন।

গ) সাধারণভাবে উপদেষ্টা পরিষদের কার্যকাল থাকবে ২(দুই) বছরের জন্য।

অনুচ্ছেদ-১১: কার্যনির্বাহী পরিষদ

ক) প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য ২৭ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী পরিষদ থাকবে

১.       সভাপতি                                                             —          ১ জন

২       সিনিয়র সহ-সভাপতি                                              —          ১ জন

৩.      সহ-সভাপতি                                                         —          ২ জন

৪.      সাধারণ সম্পাদক                                                  —          ১ জন

৫.      সহ-সাধারণ সম্পাদক                                            —          ১ জন

৬.     সাংগনিক সম্পাদক                                                 —          ১ জন

৭.     কোষাধ্যক্ষ                                                             —          ১ জন

৮.     দপ্তর সম্পাদক                                                        —          ১ জন

৯.     প্রচার সম্পাদক                                                         —          ১ জন

৮.     গ্রন্থাগার বিষয়ক সম্পাদক                                           —          ১ জন

৯.      জনস্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ক সম্পাদক                            —          ১ জন

১০.    মহিলা বিষযক সম্পাদক                                               —          ১ জন

১১.    শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক                   —          ১ জন

১৩.    সমাজকল্যাণ সম্পাদক                                                 —          ১ জন

১৫.    পরিবেশ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক                                  —          ১ জন

১৬.    বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক                                  —          ১ জন

১৭.     নির্বাহী সদস্য                                                           —          ৯ জন

খ. কার্যনির্বাহী পরিষদের মেয়াদ থাকবে দুই বছর।

গ. প্রতিষ্ঠানের সার্বিক স্বার্থে কার্যনির্বাহী পরিষদের মোট সদস্য সংখ্যা পরিবর্তনযোগ্য।

অনুচ্ছেদ-১২: কার্যনির্বাহী পরিষদের গঠন/নির্বাচন,এ্যাডহক কমিটি গঠন ও উপদেষ্টা পরিষদ গঠন

অনুচ্ছেদ-১২(ক): কার্যনির্বাহী পরিষদের গঠন

ক) কার্যনির্বাহী পরিষদের সকল পদের ক্ষেত্রে গ্রন্থাগারের ব্যাপারে আগ্রহী হবেন এমন ব্যক্তিবর্গ মনোনিত হবেন।

খ) কার্যনির্বাহী পরিষদ শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠানের সদস্য কর্তৃক মনোনয়ন/নির্বাচন/ ভোটপ্রদানের মাধ্যমে গঠন করা হবে।

গ) কার্যনির্বাহী পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস পূর্বে উপদেষ্টা পরিষদের মধ্য হতে অথবা পরবর্তী কার্যনির্বাহী পরিষদের কোন পদের পদপ্রার্থী নয় এমন নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে।

ঘ)  নির্বাচন কমিশন দুই মাসের মধ্যে নির্বাচন / ভোট (গোপন ব্যালট) এর মাধ্যমে একটা নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করে দিবেন।

ঙ) কার্যনির্বাহী কমিটি তাদের মেয়াদের শেষদিন নব নির্বাচিত কমিটির নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন এবং নব নির্বাচিত কমিটি পরবর্তী দিন হতে পরবর্তী ২ বছরের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হবেন।

অনুচ্ছেদ-১২(খ): এ্যাডহক কমিটি গঠন

১২(খ)-১: নিয়মিত কমিটির মেয়াদ শেষে কোন বিশেষ কারণে সঠিক সময়ে নির্বাচন করা সম্ভব না হলে অথবা অন্য কোন উদ্ভুত জরুরী পরিস্থিতির কারণে নিয়মিত কমিটির অনুপস্থিতিতে সর্বশেষ কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক আলোচনা করে অনধিক সাত সদস্যের একটা এ্যাডহক কমটি গঠন করে দিবেন।

সাত সদস্যের এ্যাডহক কমিটির গঠন কাঠামো হবে নিম্নরূপঃ

১.       সভাপতি

২.      সাধারণ সম্পাদক

৩.      কোষাধ্যক্ষ

৪.       সাংগঠনিক সদস্য

৫.      গ্রন্থাগার সম্পাদক

৬.      দপ্তর সম্পাদক

৭.      নির্বাহী সদস্য

১২(খ)-২: এডহক কমিটির কাজ হবে প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন রুটিন কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং তিন মাস সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করা।

অনুচ্ছেদ-১২(গ): উপদেষ্টা পরিষদ গঠন

ক) নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠনের পর কার্যনির্বাহী পরিষদ উপদেষ্টা পরিষদ পূণর্গঠন করতে পারবে। পূণর্গঠন না করলে পূর্বের উপদেষ্টা পরিষদ বহাল থাকবে।

অনুচ্ছেদ-১৩: কার্যনির্বাহী পরিষদের দায়িত্ব ও ক্ষমতা

১।   সভাপতি

ক) সভাপতি প্রতিষ্ঠানের সভা প্রধান হিসেবে দাযিত্ব পালন করবেন।

খ) তিনি প্রতিষ্ঠানের সাধারণ পরিষদ ও কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় সভাপতিত্ব করবেন।

গ) কোন বিষয়ে মত বিরোধ দেখা দিলে তিনি চুড়ান্ত সিন্ধান্ত দিবেন।

ঘ) তিনি সাধারণ সম্পাদক ও অথবা কোষাধ্যক্ষের সাথে যৌথভাবে(যুগ্ম স্বাক্ষর) প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করবেন।

ঙ) তিনি সমস্থ প্রশাসনিক ও আর্থিক কাজের চুড়ান্ত অনুমোদন দিবেন।

চ) সভাপতি বার্ষিক সাধারণ সভা, অতিরিক্ত/জরুরি/বিশেষ সাধারণ সভা ও কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা আহব্বান করতে পারবেন।

ছ) বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কার্যবিবরণীর প্রতিবেদন পেশ করতে পারবেন।

জ) সর্ব প্রকার সভার অনুমতি পত্র প্রদান করবেন।

২। সিনিয়র সহ-সভাপতি

ক) সভাপতির অনুপস্থিতিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন

খ) সভাপতি ও কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক অর্পিত যে কোন সুনির্দিষ্ট কাজের দায়িত্ব পালন

৩। সহ-সভাপতি

ক) সভাপতির অনুপস্থিতিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন

খ) সভাপতি ও কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক অর্পিত যে কোন সুনির্দিষ্ট কাজের দায়িত্ব পালন

৪। সাধারণ সম্পাদক

ক) প্রতিষ্টানের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্বপালন।

খ) প্রতিষ্ঠানের মুখ্য নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

গ) সভাপতির অনুমতিক্রমে (লিখিত অনুমতি) বার্ষিক সাধারণ সভা, অতিরিক্ত/জরুরি/বিশেষ সাধারণ সভা ও কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা আহব্বান করতে পারবেন।

ঘ) তিনি সভাপতি বা কোষাধ্যক্ষের সাথে যৌথভাবে (যুগ্ম স্বাক্ষর) প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করবেন।

ঙ) বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কার্যাবলির প্রতিবেদন পেশ করতে পারবেন।

চ) নির্বাহী পরিষদের অন্যান্য কর্মকর্তাদের কাজের তদারকি করা।

ছ) প্রতিষ্ঠারে যাবতীয় সম্পাদি সুরক্ষার দায়িত্ব পালন করা।

৫। সহ-সাধারণ সম্পাদক

ক) সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন

খ) সাধারণ সম্পাদকের যাবতীয় কাজে সহযোগিতা করা।

গ) সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী পরিষদ প্রদত্ত অপর যেকোন সুনিদির্ষ্ট কাজের দায়িত্ব পালন করা।

৬। কোষাধ্যক্ষ

ক) প্রতিষ্ঠানের তহবিল সংরক্ষণের দায়িত্ব পালন করবেন।

খ) বার্ষিক বাজেট প্রণয়ন ও কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমতিক্রমে বাজেট সাধারণ সভায় উপস্থাপন করবেন।

গ) প্রতিষ্ঠানের বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব ও উদ্ধত্তপত্রের বিবরণী তৈরী ও হিসাব নিরীক্ষায় সহায়তা প্রদান ও বার্ষিক সাধারণ সভার নিরীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন।

ঘ) সদস্য চাঁদা ও অন্যান্য সরকারি বেসরকারি অনুদান গ্রহণ/সংগ্রহ ও তা ব্যাংক হিসাবে জমা করণ।

ঙ) প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় আর্থিক লেনদেন পরিচালনায় প্রচলিত আর্থিক বিধি অনুসরণ করা।

চ) সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী পরিষদ প্রদত্ত অপর যেকোন সুনিদির্ষ্ট কাজের দায়িত্ব পালন করা।

ছ) সভাপতির সাথে যৌথভাবে (যুগ্ম স্বাক্ষর) প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করবেন।

৭। সাংগঠনিক সম্পাদক

ক) প্রতিষ্ঠানের জনসংযোগ কার্যক্রম জোরদার করা মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সার্বিক দায়িত্ব পালন করা।

খ) সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী পরিষদ প্রদত্ত অপর যেকোন সুনিদির্ষ্ট কাজের দায়িত্ব পালন করা।

৮। দপ্তর সম্পাদক

ক) দাপ্তরিক রেকর্ডপত্র যথাযধভাবে সংরক্ষণ করবেন, দপ্তরের রক্ষানাবেক্ষন করবেন এবং প্রতিষ্ঠানের সার্বিক দায়িত্ব পালন।

খ) সংগঠনের বিভিন্ন সভা/অনুষ্ঠানে আগত ব্যক্তি/অতিথীদের বক্তব্য/মতামত লিপিবদ্ধ করে প্রেস রিলিজ আকারে তা জনসম্মুখে প্রকাশ করবেন।

গ) সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী পরিষদ প্রদত্ত অপর যেকোন সুনিদির্ষ্ট কাজের দায়িত্ব পালন করা।

৯। প্রচার সম্পাদক

(ক) সংগঠনের বিকাশ সাধনের জন্য সংগঠন হতে ঘোষিত প্রচারপত্র , পোস্টার এবং বক্তব্য অত্র সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে পৌছে দেয়া প্রচার সম্পাদকের কাজ।

(খ) সংগঠন হতে সকল প্রকার প্রকাশনার ডিজাইন, তথ্য সংগ্রহ, প্রুফ দেখা সম্পন্ন করে থাকবেন।

(গ) সংগঠনের বাহ্যিক প্রচারে বেশি গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন প্রস্তাব নির্বাহী সভায় উপস্থাপন করবেন।

(ঘ) প্রয়োজন অনুযায়ী সংবাদ সম্মেলন ও গোলটেবিল আলোচনার ব্যবস্থা করবেন।

(ঙ) সংগঠনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান বা কার্যক্রমের সময় প্রচারের ব্যবস্থা করা এবং তা যথাযথ ভাবে হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখবেন।

(চ) বিভিন্ন সামাজিক গণমাধ্যমে সংগঠনের প্রচারনার দায়িত্বও তার অধীনে।

(ছ) সংগঠনের বিভিন্ন খবর পত্রিকায় প্রকাশের ব্যবস্থা করা তার দায়িত্ব।

১০। পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক

ক) পাঠাগার পরিচালনা জন্য প্রয়োজনীয় বিধি বিধান প্রনয়ণ।

খ) পাঠাগার পরিচালনার ক্ষেত্রে লাইব্রেরিয়ান ও লাইব্রেরি কর্মীদের কার্যাদি তদারকি করা।

গ) সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী পরিষদ প্রদত্ত অপর যেকোন সুনিদির্ষ্ট কাজের দায়িত্ব পালন করা।

১১। শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক

পুরাপাড়া ইউানয়ন অনার্স ক্লাবের শিক্ষা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পদক এর নির্দেশনায়……

ক) গ্রন্থাগার কে কেন্দ্র করে এলাকার সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার পরিবেশ সৃষ্টি ও সাংস্কৃতি চর্চার পরিবেশ সৃষ্টি এবং এ সংক্রান্ত নানা কর্মসূচি প্রণয়ন ও কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমোদনক্রমে তা বাস্তবায়নে দায়িত্ব পালন।

খ) সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী পরিষদ প্রদত্ত অপর যেকোন সুনিদির্ষ্ট কাজের দায়িত্ব পালন করা।

১২. জনস্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ক সম্পাদক

ক) জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা কার্যক্রম জোরদার করা,বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম পচিালনা করা।

খ) পুরাপাড়া ইউনিয়ন অনার্স ক্লাব কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এবং প্রস্তাবিত ব্লাডব্যাংকসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবামূলক কার্যক্রম ব্যবস্থাপনা এবং বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা।

গ) জনগণের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করতে সভা, সেমিনার আয়োজনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা।

ঘ) সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী পরিষদ প্রদত্ত অপর যেকোন সুনিদির্ষ্ট কাজের দায়িত্ব পালন করা।

১৩. মহিলা বিষযক সম্পাদক

১। নারীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সার্বিক উন্নয়নে ক্লাবের করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ প্রদান করবেন এবং এই বিষয়ে ক্লাবের নীতি বাস্তবায়নে কাজ করবেন।

২। কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক মহিলা বিষয়ক গৃহীত যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করার দায়িত্ব তার উপর ন্যাস্ত থাকবে।

৩। দুস্থ, নিরক্ষর,অসহায়,নির্যাতিত মহিলাদের সংগঠিত করবেন এবং তাদের সম্পর্কে পরিষদকে অবহিত করবেন।

১৪. সমাজ কল্যান সম্পাদক

ক) গ্রন্থাগারকে কেন্দ্র করে এলাকার জনগণের মধ্যে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ,স্বাস্থ্য ও পুষ্টি,মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য, পরিবেশ সংরক্ষণ,নিরক্ষতা দূরীকরণ ইত্যাদি বিষয়ে নানা কর্মসূচি প্রণয়ন ও  কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমতিক্রমে তা বাস্তবায়নের দাযিত্ব পালন করা।

খ) সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী পরিষদ প্রদত্ত অপর যেকোন সুনিদির্ষ্ট কাজের দায়িত্ব পালন

১৫। পবিবেশ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক

ক) বিভিন্ন পরিবেশ বান্ধব কর্মসূচি পরিচালনা করবেন।

খ) দেশে সংঘটিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে পরিষদকে অবগত করবেন।

গ) পরিবেশ সুরক্ষায় গ্রন্থাগারের ভূমিকা সম্পর্কে পরামর্শ প্রদান করবেন এবং গৃহিত কার্যক্রম বাস্তবায়নের ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

১৬। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক

ক) প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম এবং সেবা সহজতর, সাশ্রয়ী করতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

খ) প্রযুক্তিনির্ভর বিভিন্ন উদ্ভাবনী কর্মকান্ড পরিচালনা করতে কার্যনির্বাহী পরিষদকে পরামর্শ প্রদান করা।

গ) সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী পরিষদ প্রদত্ত অপর যেকোন সুনিদির্ষ্ট কাজের দায়িত্ব পালন করা।

১৭.  নির্বাহী সদস্য

ক) কার্যনির্বাহী পরিষদের সকল কর্মকান্ড গ্রহণ ও বাস্তবায়নের সক্রীয় অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা প্রদান।

খ) সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী পরিষদ প্রদত্ত অপর যেকোন সুনিদিষ্ট কাজের দায়িত্ব পালন করা।

অনুচ্ছেদ- ১৪:  পদত্যাগ/পদশুন্য

ক) কার্যনির্বাহী পরিষদের কোন কর্মকর্তা পদত্যাগ করতে চাইলে পরিষদের সভাপতি বরাবর লিখিত আবেদন করতে হবে এবং সভাপতি মহোদয় উপদেষ্টা পরিষদের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

খ) কার্যনির্বাহী পরিষদের কোন পদ পদত্যাগ বা অন্য কোন কারনে শূন্য হলে আজীবন সদস্যদের দ্বারা মনোনয়ন বা নির্বাচনের মাধ্যমে উক্ত শূন্য পদ পূরণ করা হবে।

অনুচ্ছেদ-১৫: সভাসমূহঃ

ক) সাধারণ সভা: বছরে অন্তত একবার সাধারণ সভা আহবান করতে হবে। সভা অনুষ্ঠানের নির্দিষ্ট তারিখ হতে কমপক্ষে ১৫ দিন পূর্বে সুনির্দিষ্ট আলোচ্যসূচি সহ সভার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।

খ) বিশেষ সাধারণ সভা:  প্রয়োজনে যেকোন সময় সভাপতি ৭ দিনের নোটিশে সাধারণ সভা আহবান করতে পারবেন।

গ) জরুরি/অতিরিক্ত সভা: সভাপতির অনুমতিক্রমে সাধারণ সভাপতি ৭ দিনের নোটিশে সুনির্দিষ্ট আলোচ্যসূচি সহ জরুরি /অতিরিক্ত সাধারণ সভা আহবান করতে পারবেন।

ঘ) কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা: সাধারণ অবস্থায় মাসে ১ বার অথবা তা সম্ভব না হলে তিন মাসে একবার কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হবে।

অনুচ্ছেদ-১৬: কোরাম

মোট সদস্যের দুই তৃতীয়াংশ উপস্থিতিতে  যে কোন সভার কোরাম পুর্ন হবে।

অনুচ্ছেদ-১৭: অর্থ ব্যবস্থাপনা

ক) অর্থ সংগ্রহঃ

নিম্নোক্ত উপায়ে অর্থ সংগ্রহ করা যাবে-

১. সদস্য ফি

২. এককালীন অনুদান

৩. আজীবন/দাতা সদস্যদের চাঁদা বা অনুদান

৪. সরকারি, দেশী বিদেশী এনজিও, দাতা সংস্থা, বেসরকারি সংস্থার অনুদান।

খ) অর্থ সংরক্ষণ ও ব্যয়ঃ

১. প্রতিষ্ঠানের অর্থ যে কোন তফসিলী ব্যাংকে চলতি অথবা সঞ্চয়ী হিসাব খু্লে সেখানে জমা ও উত্তোলনের ব্যবস্থা করতে হবে।

২. সভাপতি সাথে সাধারণ সম্পাদক বা কোষাধ্যক্ষের যুগ্ম স্বাক্ষরে ব্যাংক হিসাব পরিচালিত হবে।

৩. প্রতিষ্ঠানের তাৎক্ষণিক ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় নগদ টাকা হাতে রাখা যাবে।

৪. অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করণে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর সম্বলিত প্রত্যেক ব্যয় ভাউচার কোষাধ্যক্ষ মহোদয় সংরক্ষণ করবেন এবং প্রত্যেক সাধারণ সভায় আয় ব্যয়ের লিখিত হিসেব বিবরণী উত্থাপন করবেন।

অনুচ্ছেদ-১৮: হিসাব নিরীক্ষা

ক) প্রতি বছর একটি হিসাব নিরীক্ষা কমিটি গঠন করে উক্ত কমিটির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের বছরের আয়-ব্যয় হিসাব ও উদ্ধৃত্ত অর্থের বিবরনী নিরীক্ষা করতে হবে।

অনুচ্ছেদ-১৯: গ্রন্থাগারের সদস্য হওয়া ও বই ধার দেওয়া সংক্রান্ত নীতিমালা

ক) শুধুমাত্র গ্রন্থগারের সদস্যরাই বই ধার নিতে পারবেন, তবে পাঠাগারে বসে যে কউ বই পড়তে পারবেন।

খ) সদস্য হওয়ার জন্য আগ্রহী পাঠককে গ্রন্থাগারের নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। আবেদন ফরমের মূল্য বিশ টাকা।

গ) আবেদনপত্রের সাথে পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্মনিবন্ধন সনদের অনুলিপি সংযুক্ত করতে হবে।

ঘ) জামানত: সাধারণ সদস্যদের ক্ষেত্রে দুইশত টাকা, ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে একশত টাকা এবং শিশু সদস্যদের ক্ষেত্রে পঞ্চাশ টাকা জামানত (ফেরতযোগ্য) হিসে্বে জমা দিতে হবে। তবে জামানতের অর্থ সদস্য হওয়ার এক বছরের মধ্যে ফেরতযোগ্য নয়।

ঙ) মেয়াদ: নিবন্ধিত সদস্যেদের মেয়াদ এক বছর। সদস্য নবায়ন ফি বিশ টাকা।

চ) প্রত্যেক সদস্যকে এককালীন সর্বোচ্চ পনের দিনের জন্য একটি বইয়ের বেশি ধার দেয়া হবেনা। অন্যকোন পাঠকের চাহিদা না থাকলে একই পাঠক একই বই ধারাবাহিকভাবে সর্বোচ্চ দুইবার ধার নিতে পারবেন।

ছ) প্রত্যেক সদস্যকে মেম্বারসীপ কার্ড দেয়া হবে এবং কার্ড দ্বারা গ্রন্থাগার থেকে বাড়িতে একসাথে একখানা বই নিতে পারবেন। গ্রন্থাগার হতে গৃহিত বই ফেরত না দেওয়া পযর্ন্ত কার্ডটি গ্রন্থাগারে সংরক্ষিত থাকবে।

জ) গৃহিত বই পনের দিনের মধ্যে ফেরত দিতে হবে, অন্যথায় অতিরিক্ত প্রতি একদিনের জন্য পাঁচ টাকা হারে জরিমানা দিতে হবে। বই হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে বইযের দ্বিগুন মুল্য বা নতুন বই ক্রয় করে দিতে হবে। ব্যর্থতায় তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে এবং তার নামে আর কোন বই ইস্যু করা হবেনা। তার সদস্য পদ বাতিল হবে।

ঝ) গ্রন্থাগার কার্ড হারিয়ে গেলে গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে এবং আবেদন সাপেক্ষে বিশ টাকার বিনিময়ে কর্তৃপক্ষ নতুন কার্ড সরবরাহ করবে।

ঞ) বইয়ের মধ্যে কোন কিছু লেখা/দাগ দেওয়া যাবে না, ইচ্ছাকৃতভাবে বইয়ের পৃষ্ঠা/মলাট ছেড়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কোন সদস্য নীতমালা পরপিন্থী কোন কার্যক্রম করলে গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ তার সদস্যপদ বাতিল করতে পারবে।

ট) যেকোন সদস্যের সদস্য পদ নবায়ন, স্থগিত বা বাতিল করার ক্ষমতা গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষের থাকবে। এবং এই নীতিমালার যেকোন শর্ত কর্তৃপক্ষ যেকোন সময় পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন, বিয়োজন, সংযোজন বা সংশোধন করতে পারবে।

অনুচ্ছেদ-২০: গঠনতন্ত্র সংশোধন

ক) এ গঠনতন্ত্রে কোন পরিবর্তন, পরিবর্ধন, বিয়োজন, সংযোজন বা সংশোধন করতে হলে তা সাধারণ সভায় দু-তৃতীংশের অনুমোদনক্রমে করা যাবে।

খ) উক্ত পরিবর্তনে নিবন্ধনকারী কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে।

অনুচ্ছেদ-২১: প্রতিষ্ঠানের বিলুপ্তি

আমরা আশাকরি প্রাকৃতিক কারণ ব্যতিত “পুরাপাড়া বঙ্গবন্ধু গণগ্রন্থাগার” কখনোই বিলুপ্ত হবে না, বরং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে এই গ্রন্থাগার মানুষের জ্ঞান-বিজ্ঞান এবং মানবিকতার উন্নয়নে কাজ করে যাবে, ইনশাল্লাহ। তারপরও যদি কোন অপ্রত্যাশিত/অনিবার্য কারণে গ্রন্থাগারের বিলুপ্তির প্রশ্ন ওঠে, তবে  সংস্থার সকল দায়দেনা কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক পরিশোধ করত:  ন্যূনতম  (তিন পঞ্চামাংশ) সাধারণ সদস্যের সম্মতিক্রমে নিবন্ধীকরণ এবং প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় আস্তাবর, অস্তাবর সম্পত্তি ও তহবিল পুরাপাড়া ইউানয়ন অনার্স ক্লাবের মালিকানায় চলে যাবে।

************সমাপ্ত************