গঠনতন্ত্র

 

অস্থায়ী কার্যালয়:

পুরাপাড়া বঙ্গবন্ধু গণগ্রন্থাগার

পুরাপাড়া বাজার, পুরাপাড়া, নগরকান্দা,ফরিদপুর।

মোবাইলঃ ০১৭১৭৮৬০৫৮০

E-mail: purapara.uhc@gmail.com

 

 

 

 

 

 

”পুরাপাড়া ইউনিয়ন অনার্স ক্লাব” এর গঠনতন্ত্র

The Constitution of “Purapara Union Honour’s Club” (PUHC)

 

ধারা-০১ প্রতিষ্ঠাঃ

”পুরাপাড়া ইউনিয়ন অনার্স ক্লাব” ২০২০ সালে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী জেলা ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার পুরাপাড়া ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠিত হয়।

 ধারা-০২: সংস্থার নামকরণ ও স্লোগান

বাংলায়ঃ  “পুরাপাড়া ইউনিয়ন অনার্স ক্লাব”

ইংরেজীতেঃ  “Purapara Union Honour’s Club” নামে অভিহিত হবে।

সংস্থার স্লোগান হবে-

বাংলায়ঃ “আমরা সকলের পাশে আছি,থাকবো এবং আমাদের প্রত্যয় সাফল্যের”

ইংরেজীতেঃ We are and will be beside everyone and our conviction is of success.

 

ধারা ০৩ মনোগ্রামঃ

পুরাপাড়া ইউনিয়ন অনার্স ক্লাবের আদর্শ ও লক্ষ্যের সাথে সংগতিপূর্ণ এর  নিজস্ব মনোগ্রাম থাকবে।

ধারা ০৪-লক্ষ ও উদ্দেশ্যঃ

”পুরাপাড়া ইউনিয়ন অনার্স ক্লাব” পুরাপাড়া ইউনিয়ন তথা মানুষের শিক্ষা-সংস্কৃতি, আর্থ-সামাজিক, মানবিক বোধের উন্নয়নকল্পে স্থায়ীত্বশীল উন্নয়নের মাধ্যমে, আত্ননির্ভরশীল সুখী ও সমৃদ্ধশালী অবক্ষয়মুক্ত সমাজ গঠনে ইউনিয়নের শিক্ষিত সচেতন মহলের ঐক্যবদ্ধভাবে ভূমিকা পালন করার নিমিত্তে গঠিত হয়েছে। বিশেষ করে সমাজের পিছিয়ে পড়া মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের সহায়তা ও অনুপ্রেরণা প্রদান, অনগ্রসর নারী-পুরুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তনে সমন্বিত প্রচেষ্টায় উন্নয়ন কর্মসূচি বা প্রকল্প প্রণয়ন, বাস্তবায়ন কাঠামো সংস্থার উদ্দেশ্যের আলোকে নির্ধারণ করা হবে। ইহা সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, সামাজিক উন্নয়নমুলক, সাংস্কৃতিক ও সেচ্ছায় মানব সেবাধর্মী সংগঠন। এই সংগঠন পুরাপাড়া ইউনিয়নের শিক্ষিত যুব সমাজ নিয়ে গঠিত হবে এবং এলাকার সর্ব শ্রেণির মানুষের উন্নয়নের জন্য কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

এ উদ্দেশ্যে বাস্তবায়নে ক্লাবের কর্মপরিকল্পনা হবে এলাকাবাসীর মধ্যে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনের প্রত্যয় সৃষ্টি করা। এলাকার গরীব, অসহায় মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের পড়া লেখা চালিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ ও সহায়তা করা এবং বিনামুল্যে বই বিতরণ করা। ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা ও সৃজনশীলতার সর্বাধিক বিকাশের লক্ষ্যে তাদেরকে প্রণোদিত ও সংগঠিত করা এবং মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদেরকে উপবৃত্তি প্রদান করা। সমাজের সবার মধ্যে সামাজিক দায়বদ্ধতা বোধ সৃষ্টি করে সমাজ সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা। পুরাপাড়া ইউনিয়ন অনার্স ক্লাবের প্রতিটি সদস্যকে কাজের মাধ্যমে সফল, স্বয়ংক্রীয় ও স্বেচ্ছাসেবী হয়ে ওঠার লক্ষ্যে ক্ষমতায়িত করা। এলাকার গরীব শিশু-কিশোরদের অক্ষরদান দেয়ার জন্য গণশিক্ষা কেন্দ্র/পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করা এবং দরিদ্র শিশুদের খেলাধুলার পাশাপাশি সু-স্বাস্থ্য নিশ্চিত কল্পে ফ্রি চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং শিশুদের বাল্যবিবাহ রোধে সভা-সেমিনার ও গণসচেতনতা সৃষ্টি করা। মাদকমুক্ত এলাকা গড়তে প্রশাসনকে সহযোগিতা করা। এলাকার মাদকাসক্ত, জুয়াড়ি, বখাটে ও অপরাধীদের সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বিনোদন, গণসচেতনতা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং কর্মসংস্থানের জন্য উৎসাহ প্রদান করা। সমাজবিরোধী কার্যকলাপ হইতে জনগণকে বিরত রাখিবার উদ্দেশ্যে ধমীয় অনুষ্ঠান ও চিত্ত-বিনোদন এবং সাংস্কৃতিক কর্মসূচীর ব্যবস্থা করা। যে কোন সেবামূলক কাজে জনগনকে উদ্ভুদ্ধ করা এবং জনগনকে সেবামূলক কাজে সহযোগিতা করা। এমনকি খাদ্য দ্রব্যকে বিষ মুক্ত রাখা ও কৃষকদের কেমিক্যাল ব্যতীত ফসল উৎপাদনের ব্যাপারে পরামর্শ দেয়া। সরকারের উন্নয়ণমূলক সংস্থা সমূহের সহায়ক শক্তি হিসাবে কাজ করা। গণ-শিক্ষা গ্রহণে বয়স্কদের উদ্বুদ্ধ করা, উন্নত প্রযুক্তির কৃষি, মৎস্য চাষ, হাঁস মুরগী পালন, হস্ত ও কুটির শিল্প স্থাপন, হেচারী ও নার্সারী সহ অন্যান্য কার্যক্রম সম্মন্ধে গ্রামবাসীর মধ্যে জ্ঞান দানের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট উন্নয়ণমূলক কর্মকান্ডে আমন্ত্রণ করা এবং সভা ও সেমিনারের আয়োজন করা। পরিবার পরিকল্পনার মাঠকর্মীদের সাথে সমন্বয় সাধন করে পরিকল্পিত পরিবার গঠনে জনগণকে উদ্ধুদ্ধ করা। দেশের দুর্ভিক্ষ, বন্যা, ঘুর্ণিঝড়, ভূমিকম্প, মহামারী, অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টিসহ সকল প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাহায্য সামগ্রী নিয়ে দুস্থ, অসহায় ও ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়ানো, শীতবস্ত্র বিতরণ এবং তহিবল সংগ্রহ ও দানের সঠিক বন্টন নিশ্চিত করা।

ধারা-০৫: সংগঠনের ধরণঃ

(১) ”পুরাপাড়া ইউনিয়ন অনার্স ক্লাব” একটি সামাজিক সংগঠন যা সম্পূর্ণ স্বাধীন, স্বেচ্ছাসেবাধর্মী, সাংস্কৃতিক ও অসাম্প্রদায়িক মনোভাবাপূর্ণ। এই সংগঠন অন্য কোন সংগঠনের অঙ্গ-সংগঠন হিসেবে কাজ করবে না বরং ভবিষ্যতে পুরাপাড়া ইউনিয়নে এবং ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে আমাদের শাখা সংগঠন/প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং ক্লাবের নেতৃত্বে পরিচালনা করা হবে।

(২) ”পুরাপাড়া ইউনিয়ন অনার্স ক্লাব” একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সংগঠন। সংগঠনের সকল কার্যক্রম সর্বপ্রকার রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হইবে এবং কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সংগঠনকে ব্যবহার করা যাবে না। কোন সদস্য যদি সংগঠনের কোন কর্মকান্ডকে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত করেন বা করার চেষ্টা করেন তবে তাকে কার্যনির্বাহী পরিষদ বহিষ্কারের ক্ষমতা রাখে।

ধারা-০৬: সংগঠনের কার্যালয়ঃ

”পুরাপাড়া ইউনিয়ন অনার্স ক্লাব” এর কার্যালয় বর্তমানে অস্থায়ী, ভবিষ্যতে পুরাপাড়া ইউনিয়ন এর যেকোনো সুবিধাজনক জায়গায় স্থায়ী ভিত্তিতে স্থাপন করা হবে। সংগঠনের আর্থিক সঙ্গতি বৃদ্ধি সাপেক্ষে ইউনিয়ন, উপজেলা সদর বা যে কোন সুবিধাজনক স্থানে নিজস্ব অথবা ভাড়া করা ভবনে সংগঠনের কার্যালয় স্থাপন করা হবে।

ধারা-০৭: সদস্য হবার শর্তাবলীঃ

(ক) অবশ্যই পুরাপাড়া ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।

 (খ) বয়স ন্যূনতম ১৮ বছর এবং সুশিক্ষিত হতে হবে।

(গ) ভদ্র, রুচিশীল, উদ্যমী, সদাচারী ও মননশীল হতে হবে।

(ঘ) স্বেচ্ছাব্রতী মনোভাবাপন্ন এবং নিজেদের তথা দেশের ও এলাকার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করার লক্ষ্যে সমাজ উন্নয়নমূলক বিভিন্ন সৃজনশীল কাজে সম্পৃক্ত কিংবা সম্পৃক্ত হতে ইচ্ছুক এবং নৈতিকতা বিরোধী কোনো কার্যক্রমে লিপ্ত হওয়া যাবে না।

(ঙ) নিজেদের মেধার সর্বোচ্চ বিকাশে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং একটি ক্ষুধামুক্ত ও আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ ও এলাকা গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখতে আগ্রহী হতে হবে।

(চ) কোন প্রকার মাদকের সাথে সামান্যতম সম্পর্কিত হওয়া যাবে না এবং মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে প্রতিশ্রুতিশীল হতে হবে।

(ছ) ব্যক্তিগত রাজনৈতিক আদর্শ/পছন্দ থাকতে পারবে, তবে কোন অবস্থাতেই ইউনিয়নে বিদ্যমান দাঙ্গা হাঙ্গামায় সম্পৃক্ত হওয়া যাবে না বরং নিজের অভিভাবকসহ সকলকে এধরণের কর্মকান্ড থেকে বিরত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে।

(জ) প্রত্যেক সদস্যকে প্রতি মাসে কার্যনির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাসিক চাঁদা দিতে হবে।

(ঝ) “পুরাপাড়া ইউনিয়ন অনার্স ক্লাব” কর্তৃক নির্ধারিত আবেদন ফরমের মাধ্যমে সভাপতি বরাবর আবেদন করতে হবে।

(ঞ) বিশেষ ক্ষেত্রে ক্লাবের কার্যনির্বাহী পরিষদের সম্মতিক্রমে সদস্য হবার শর্ত শিথিল করা যাবে।

ধারা-০৮:  সদস্য পদ বাতিল ও স্থগিত এর শর্তাবলীঃ

পুরাপাড়া ইউনিয়ন অনার্স ক্লাবের সদস্যদের সদস্যপদ বাতিল বা স্থগিত হবে যদি তিনি:

(ক) মানসিক ভারসাম্য হারান।

(খ) একটানা ছয় মাসের অধিক সময় বিশেষ কোন কারণ ব্যতিত নির্ধারিত চাদাঁ প্রদান করতে ব্যর্থ হোন।

(গ) সমাজ ও রাষ্ট্র বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হন।

(ঘ) ক্লাবের গঠনতন্ত্র ও সংগঠনের স্বার্থের পরিপন্থী কোন কাজ করেন বা তার স্বভাব আচার-আচরণ সংগঠনের উদ্দেশ্য বা নীতিমালা পরিপন্থী হয়।

(ঙ) অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য যদি যথারীতি পালন না করেন বা সংগঠনের কাজে নিষ্ক্রিয় ও অকর্মণ্য হয়ে পড়েন।

(চ) সংস্থার গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কোন কাজ করেন এবং সংগঠনের সদস্য হওয়ার এক বা একাধিক শর্ত ভঙ্গ করেন,তবে কার্যকরী পরিষদের সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের ভোটে তার সদস্যপদ বাতিল করা যাবে।

(ছ) কোন সদস্যের বিরুদ্ধে (ক-ঙ) অনুচ্ছেদে উল্লেখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে এবং কার্যকরী পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সম্মতিতে বিষয়টি প্রমাণিত হলে, উক্ত সদস্যের সদস্য পদ তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হবে। তিন মাসের মধ্যে উক্ত সদস্য সংশোধন হলে কার্যকরী পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সম্মতিতে তিনি সদস্য পদ ফিরে পাবেন, অন্যথায় তার সদস্য পদ স্থায়ীভাবে বাতিল বলে গণ্য হবে।

(জ) কার্যর্নির্বাহী পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের সম্মতিতে প্রাসঙ্গিক কারণে যেকোন সদস্যকে বহিষ্কার করা যাবে।

(ঝ) কোন সদস্য পদত্যাগ করতে চাইলে তিনি সংশ্লিষ্ট কার্যকরী পরিষদের সভাপতি বরাবর লিখিত পদত্যাগ পত্র পেশ করিবেন। কার্যকরী কমিটির সভায় উহা গৃহিত হইলে উক্ত সদস্যের সদস্য পদ বাতিল হইবে অথবা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানো যাইবে।

ধারা-০৯: সংগঠনের তহবিল সংক্রান্ত বিষয়াবলীঃ

তহবিল সংগ্রহ :

নিম্নলিখিত উপায়ে সংস্থার তহবিল সংগ্রহ করা যাবে :

(ক) সদস্য ফি।

(খ) সদস্যদের মাসিক চাঁদা।

(গ) এককালীন সদস্য চাঁদা।

(ঘ) এককালীন অনুদান ও কোন প্রকল্প হইতে আয় এবং ব্যাংক, সংস্থা, ফাউন্ডেশন ও অর্থ লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে তহবিল গঠন।

(ঙ) কোন বিশেষ ব্যক্তি/ প্রতিষ্ঠানের অনুদান।

(চ) সরকারি অনুদান।

(ছ) সরকারের বিশেষ প্রকল্প অনুদান/ ঋণ গ্রহণ।

(জ) যে কোন কাজে বিদেশী দান, অনুদান এবং বিদেশী এম্বাসীর দান, অনুদান ইত্যাদি।

ধারা-১০: আর্থিক ব্যবস্থাপনা

(ক) সংস্থার আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে এলাকাস্থ বা দেশের যে কোন সিডিউল ব্যাংকে সংস্থার নামে একটি সঞ্চয়ী/ চলতি হিসাব খুলতে হবে।

(খ) উক্ত সঞ্চয়ী/ চলতি ব্যাংক হিসাব সংস্থার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং কোষাধ্যক্ষ এই তিন জনের মধ্যে সভাপতি এবং যে কোন ১ জনের যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হবে।

(গ) সংস্থার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পরামর্শক্রমে কোষাধ্যক্ষ চলমান খরচ নির্বাহের জন্য ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা হস্তমজুদ রাখতে পারবেন। হস্তমজুদের টাকা খরচের পর তা পরবর্তী কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় অনুমোদন গ্রহন করতে হবে।

(ঘ) আর্থিক বছর শেষে তহবিলের অর্থ বা জমাকৃত তহবিলের অর্থ সদস্যদের মধ্যে বন্টন করা যাবে না। শুধুমাত্র সংস্থার আদর্শ ও উদ্দেশ্য অর্জনে এবং কর্মসূচী বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কল্যাণমুখী, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অসহায়দের কাজে খরচ করা যাবে।

(ঙ) সংস্থার প্রয়োজনীয় অর্থ খরচের পূর্বে উত্তোলনের জন্য কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় অনুমোদন গ্রহণ করা হবে।

(চ) সংস্থার নামে সংগৃহিত অর্থ কোন অবস্থাতে হাতে রাখা যাবে না। সংগৃহিত অর্থ প্রাপ্তির পর যথাশীঘ্র সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে জমা দিয়ে জমার রশিদ সংগ্রহ করা হবে।

(ছ) সকল ব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যাংকিং নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে।

ধারা-১১: ক্লাবের সদস্য

ক). উদ্যোক্তা সদস্য

খ) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য

গ). দাতা সদস্য

ঘ). আজীবন সদস্য

ঙ). কার্যকরী সদস্য

সদস্যদের  বিবরণ

  • উদ্যোক্তা সদস্য

(ক) যে বা যারা এই সংগঠন প্রতিষ্ঠার মহতী উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন তিনি বা তারা “পুরাপাড়া ইউনিয়ন অনার্স ক্লাব” এর উদ্যোক্তা সদস্য হিসেবে বিবেচিত হবেন।

(খ) ক্লাবের উদ্যোক্তা সদস্যবৃন্দ সকল সময়ে ক্লাব কর্তৃক উচ্চ মর্যাদা প্রাপ্ত হবেন এবং কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।

  • প্রতিষ্ঠাতা সদস্য

(ক) যে সকল ব্যাক্তিবর্গ “পুরাপাড়া ইউনিয়ন অনার্স ক্লাব” প্রতিষ্ঠার সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন, অর্থাৎ যাদের শ্রম,সময়,অর্থ ও মেধার উপর এই ক্লাব প্রতিষ্ঠিত এবং ক্লাবের উন্নয়ন,স্থায়িত্ব ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে ক্লাব নির্ধারিত হারে শুরু থেকেই মাসিক চাঁদা প্রদান করে আসছেন, তাহারা ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে বিবেচিত হবেন।

(খ) ক্লাবের  প্রতিষ্ঠাতা সদস্যবৃন্দ সকল সময়ে ক্লাব কর্তৃক উচ্চ মর্যাদা প্রাপ্ত হবেন এবং কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।

  • দাতা সদস্য

(ক) গঠনতন্ত্রের শর্তাদি পালন সাপেক্ষে এবং এককালীন কমপক্ষে ১০,০০০ টাকা জমা দিলে দাতা সদস্য হতে পারবেন।

(খ) দাতা সদস্যেদের মাসিক বা বাৎসরিক কোন চাঁদা বাধ্যতামূলক নয়।

(গ) দাতা সদস্যগণ কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠনে  ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।

  • আজীবন সদস্য

(ক) যে কোন ব্যক্তি গঠনতন্ত্রের শর্তাদি পালন সাপেক্ষে এবং কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমোদনক্রমে ক্লাব নির্ধারিত হারে মাসিক/বার্ষিক চাদাঁ প্রদানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের আজীবন সদস্য হতে পারবেন।

(খ) আজীবন সদস্যবৃন্দ কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠনে  ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।

  • কার্যকরী সদস্য

(ক) চলমান পরিচালনা পরিষদের সদস্যবৃন্দ অর্থাৎ উপদেষ্টা পরিষদ, কার্যনির্বাহী পরিষদ এবং সাধারণ সদস্যবৃন্দ কার্যকরী সদস্য হিসেবে বিবেচিত হবেন।

(খ) কার্যকরী সদস্যবৃন্দ কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠনে  ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।

ধারা ১২:  বিভিন্ন সাংগঠনিক কার্যকরী পরিষদ

সাংগঠনিক পরিষদ নিম্নরুপঃ

১.উপদেষ্টা পরিষদ

২.কার্যনির্বাহী পরিষদ

৩.সাধারণ পরিষদ

সাংগঠনিক কাঠামোর বিবরণঃ

(ক) উপদেষ্টা পরিষদ : নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত, সম্মানিত, উদার, মানবিক, কোন বিশেষ বিষয়ে যোগ্য, সুদক্ষ, পারদর্শী এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গদেরকে নিয়ে সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হবে। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যগণ সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে উপদেশ প্রদান করবেন। সংস্থার কার্যনির্বাহী পরিষদ সভার মাধ্যমে আলোচনার ভিত্তিতে উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করতে পারবেন। এই পরিষদের মেয়াদ হবে ২ (দুই) বছর। প্রয়োজনবোধে কার্যনির্বাহী পরিষদ মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বেই উপদেষ্টা পরিষদ ভেঙ্গে নতুন উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করবে। ক্লাবের গৃহীত উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড সমূহ বাস্তবায়নে এ পরিষদ উপদেষ্টা মূলক দায়িত্ব পালন করবেন। ধারা ১২.১ অনুসারে উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত হবে।

(খ) কার্যনির্বাহী পরিষদ : সাধারণ পরিষদ ২ বছরের জন্য একটি ২৭ (সাতাশ) সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী  পরিষদ নির্বাচন করবেন। কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য সংখ্যা হবে ২৭ (সাতাশ) জন এবং গঠন কাঠামো হবে ধারা ১২.২ অনুসারে।

(গ) সাধারণ পরিষদ : সংস্থার উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা, দাতা, আজীবন এবং কার্যকরী সদস্যদের নিয়ে গঠিত হবে সাধারণ পরিষদ। সাধারণ পরিষদের সদস্য সংখ্যার কোন উর্দ্ধসীমা থাকবে না।

ধারা ১২.১: উপদেষ্টা পরিষদঃ

উপদেষ্টা পরিষদের গঠন কাঠামোঃ

১. প্রধান উপদেষ্টা                                       ——–       ১ জন

২. উপদেষ্টা                                              ——–      প্রয়োজনীয় সংখ্যক

ধারা ১২.২: কার্যনির্বাহী পরিষদঃ

  কার্যনির্বাহী পরিষদের গঠন কাঠামোঃ

১। সভাপতি —–     ১ জন
২। সহ-সভাপতি                               —–     ৩ জন
৩। সাধারণ সম্পাদক —–     ১ জন
৪। সহ-সাধারণ সম্পাদক                        —–     ১ জন
৫। সাংগঠনিক সম্পাদক  —–     ১ জন
৬। সহ সাংগঠনিক সম্পাদক                —–     ১ জন
৭। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক —–     ১ জন
৮। অর্থ সম্পাদক (কোষাধ্যক্ষ) —–     ১ জন
৯। দপ্তর সম্পাদক                              —–     ১ জন
১০। সমাজকল্যাণ সম্পাদক                 —–     ১ জন
১১। ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক                 —–     ১ জন
১২। ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক —–     ১ জন
১৩. শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক —–     ১ জন
১৪. আইন বিষয়ক সম্পাদক —–     ১ জন
১৫. মহিলা বিষয়ক সম্পাদক —–     ১ জন
১৬. বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক —–     ১ জন
১৭. গ্রন্থাগার ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক —–     ১ জন
১৮. জনস্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ক সম্পাদক —–     ১ জন
১৯. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক —–     ১ জন
২০. কৃষি বিষযক সম্পাদক —–     ১ জন
২১. নির্বাহী সদস্য                            —–     ৫ জন

ধারা ১২.৩: সাধারণ সদস্যঃ

ধারা ৭ প্রতিপালন সাপেক্ষে যে কেউ সাধারণ সদস্য হতে পারবেন। সাধারণ সদস্য সংখ্যার কোন উর্ধ্বসীমা থাকবে না।

ধারা- ১২.৪: কার্যনির্বাহী কমিটির দায়িত্বঃ

১। সভাপতি

ক) কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা, বার্ষিক সাধারণ সভা বা বিশেষ সাধারণ সভা বা অন্য যে কোন সভায় সভাপতিত্ব করবেন এবং সাধারণ সম্পাদককে সভা আহ্বানের পরামর্শ প্রদান করবেন।

খ) তিনি প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠানের সভা আহ্বান করবেন।

গ) তিনি প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা ও পরিচালনার নিয়মাবলী নির্ধারণ করবেন।

ঘ) প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকৃত কর্মকর্তা ও স্বেচ্ছাসেবীদের অর্পিত কাজে উৎসাহ, সহযোগিতা ও পরার্মশ প্রদান করবেন।

ঙ) তিনি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে অন্য যে কোন প্রতিষ্ঠানের চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর দাতা হবেন।

চ) তিনি সকল বিভাগীয় কর্মকর্তাদের কাজে তদারকি, পরামর্শ ও উৎসাহ প্রদান করবেন এবং যে কোন সভা/ সিম্পোজিয়াম/ সেমিনারে সংস্থার পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করবেন। তিনি সংস্থার পক্ষে যে কোন অথিতিকে অভ্যর্থনা ও সাক্ষাৎকার প্রদান করবেন।

ছ) তিনি সংস্থার কার্য বিবরণী অনুমোদন করবেন।

জ) তিনি সংস্থার সকল ব্যয় ভাউচার অনুমোদন করবেন।

ঝ) সকল কার্যাবলী তদারক ও পরামর্শ প্রদান করবেন।

ঞ) প্রতিষ্ঠানের ভাবমুর্তি রক্ষার্থে সর্বদা তৎপর থাকবেন।

ট) কোন কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে তার কাজ পরিচালনার জন্য তিনি কার্যনির্বাহী পরিষদের অন্য কোন সদস্যকে মনোনয়ন দিতে পারেন।

 ২। সহ-সভাপতি

(ক) তিনি সভাপতির সকল কাজের সহযোগিতা করবেন।

(খ) তিনি সভাপতি এবং সহ-সভাপতির অবর্তমানে সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।

(গ) তিনি কার্যনির্বাহী পরিষদের অর্পিত দায়িত্ব সম্পাদন করবেন।

৩। সাধারণ সম্পাদক

(ক) তিনি সংস্থার স্থাবর/ অস্থাবর সম্পদের হিসাব  সংরক্ষণ করবেন এবং কার্যনির্বাহী পরিষদের ও সর্ব প্রকার সাধারণ সভার কার্যবিবরণী সংরক্ষণ করবেন।

(খ) প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক কার্যক্রমের প্রতিবেদন তৈরি করা এবং কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমোদনক্রমে তা সাধারণ সভায় পেশ করা, প্রচার করা এবং সংস্থার অন্যান্য কার্যক্রম জনসমক্ষে তুলে ধরা।

(গ) সংস্থার সদস্যগণের তালিকা সংরক্ষণ করা এবং সংস্থার কার্যক্রম সম্বন্ধে তাহাদিগকে অবহিত করবেন।

(ঘ) সহযোগী ও সহকর্মীদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করা/ ব্যবস্থা করা ও সংগঠনের নথিপত্র সংরক্ষণ করা এবং সভার কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

(ঙ) সভাপতির পরামর্শক্রমে সংস্থার সকল সভা আহবান ও সভা লিপিবদ্ধ করবেন এবং সভার দিন তারিখ নির্ধারণ করবেন।

(চ) তিনি সংস্থার স্থাবর/ অস্থাবর সম্পদের জন্য ষ্টক-বুক সংরক্ষণ করবেন।

(ছ) বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ও কার্যক্রমের বার্ষিক রিপোর্ট পেশ করবেন।

৪। সহ-সাধারণ সম্পাদক

(ক) তিনি সাধারণ সম্পাদকের সকল কাজের সহযোগিতা করবেন।

(খ) তিনি সাধারণ সম্পাদকের অবর্তমানে তার দায়িত্ব পালন করবেন।

(গ) তিনি কার্যনির্বাহী পরিষদের অর্পিত দায়িত্ব সম্পাদন করবেন।

৫। সাংগঠনিক সম্পাদক

(ক) তিনি সংস্থাকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবেন।

(খ) তিনি নির্বাহী পরিষদের অর্পিত দায়িত্ব সম্পাদন করবেন।

(গ) সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের কাজে সহযোগিতা করবেন।

(ঘ) কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় উপস্থিত থেকে মতামত ব্যক্ত করবেন।

৬। সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক

(ক) তিনি সাংগঠনিক সম্পাদকের অবর্তমানে তার দায়িত্ব পালন করবেন।

(খ) কার্যনির্বাহী পরিষদ, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।

 ৭। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক

(ক) সংগঠনের বিকাশ সাধনের জন্য সংগঠন হতে ঘোষিত প্রচারপত্র , পোস্টার এবং বক্তব্য অত্র সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে পৌছে দেয়া প্রচার সম্পাদকের কাজ।

(খ) সংগঠন হতে সকল প্রকার প্রকাশনার ডিজাইন, তথ্য সংগ্রহ, প্রুফ দেখা সম্পন্ন করে থাকবেন।

(গ) সংগঠনের বাহ্যিক প্রচারে বেশি গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন প্রস্তাব নির্বাহী সভায় উপস্থাপন করবেন।

(ঘ) প্রয়োজন অনুযায়ী সংবাদ সম্মেলন ও গোলটেবিল আলোচনার ব্যবস্থা করবেন।

(ঙ) সংগঠনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান বা কার্যক্রমের সময় প্রচারের ব্যবস্থা করা এবং তা যথাযথ ভাবে হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখবেন।

(চ) বিভিন্ন সামাজিক গণমাধ্যমে সংগঠনের প্রচারনার দায়িত্বও তার অধীনে।

(ছ) সংগঠনের বিভিন্ন খবর পত্রিকায় প্রকাশের ব্যবস্থা করা তার দায়িত্ব।

(জ) কার্যনির্বাহী পরিষদ, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।

৮। অর্থ সম্পাদক (কোষাধ্যক্ষ)

(ক) তিনি প্রতিষ্ঠানের সকল প্রকার অর্থ, চাঁদা ও সকল প্রকার দান, অনুদান রশিদ বহির মাধ্যমে গ্রহন করবেন।

(খ) তিনি প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় অর্থ বিষয়ে হিসাব-নিকাশ রেকর্ডসমূহ সংরক্ষন করবেন।

(গ) তিনি সংগঠনের বার্ষিক বাজেট প্রণয়নে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে সকল প্রকার সহয়তা করবেন।

(ঘ) তিনি বার্ষিক সাধারন সভায় বার্ষিক খরচের হিসাব উপস্থাপনে এবং বাজেট প্রণয়নে ও বার্ষিক বাজেট অনুমোদনের জন্য কার্যনির্বাহী পরিষদকে সার্বিক সহযোগিতা করার দায়িত্ব পালন করবেন।

(ঙ) তিনি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পরামর্শক্রমে ব্যাংক ও অর্থ লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রতিষ্ঠানের অর্থ সংক্রান্ত বিষয়ে সর্বদা যোগাযোগ বজায় রাখবেন।

(চ) প্রাপ্ত টাকা সংস্থার সংশ্লিষ্ট হিসাব নম্বরে জমা প্রদান করে জমার বিষয়টি সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদককে অবহিত করবেন।

(ছ) কার্যনির্বাহী পরিষদ, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।

৯. দপ্তর সম্পাদক

(ক) সংগঠনের সমস্ত তথ্য, রিপোর্ট,চিঠিপত্র,দপ্তর ও সংস্থাপন সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় সংরক্ষণ করবেন।

 (খ) সকল সভা কার্য দিবসের নোটিশ সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের অনুমতি সাপেক্ষে সকল সদস্যকে অবহিত করবেন।

(গ) সংগঠনের বিভিন্ন সভা/অনুষ্ঠানে আগত ব্যক্তি/অতিথীদের বক্তব্য/মতামত লিপিবদ্ধ করে প্রেস রিলিজ আকারে তা জনসম্মুখে প্রকাশ করবেন।

(ঘ) সংগঠনের সকল প্রকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি নিজ দায়িত্বে সংরক্ষণ করবেন।

(ঙ) কার্যনির্বাহী পরিষদ, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।

১০। সমাজকল্যাণ সম্পাদক

(ক) তিনি সংস্থার সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রমের দায়িত্ব পালন করবেন।

(খ) তিনি নির্বাহী পরিষদের অর্পিত দায়িত্ব সম্পাদন করবেন।

(গ) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাজে সহযোগিতা করবেন।

(ঘ) নির্বাহী পরিষদের সভায় উপস্থিত থেকে মতামত ব্যক্ত করবেন।

(ঙ) কার্যনির্বাহী পরিষদ, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।

১১। ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক

(ক) তিনি সংস্থার সকল ক্রীড়া কর্মকান্ডের আয়োজন ও পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবেন।

(খ) তিনি নির্বাহী পরিষদের অর্পিত দায়িত্ব সম্পাদন করবেন।

(গ) সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের কাজে সহযোগিতা করবেন।

(ঘ) নির্বাহী পরিষদের সভায় উপস্থিত থেকে মতামত ব্যক্ত করবেন।

(ঙ) কার্যনির্বাহী পরিষদ, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।

 ১২. ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক

(ক) ক্লাবের ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

(খ) ধর্মীয় সংহতি বজায় রাখতে যেকোনো পরামর্শ সভায় পেশ করবেন।

(গ) কার্যনির্বাহী পরিষদ, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।

 ১৩. শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক

(ক) শিক্ষার প্রসার ও উন্নয়নে ক্লাবের ভূমিকা ও করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ প্রদান এবং গৃহিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দায়িত্ব পালন করবেন।

(খ) শিক্ষাসংক্রান্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন এবং বাস্তবায়নে দায়িত্ব করবেন।

(গ) সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব নিবেন।

(ঘ) বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক  দিবস উদযাপন বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।

(ঙ) তিনি সংস্থার সকল প্রকার সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের দায়িত্ব পালন করবেন।

(চ) কার্যনির্বাহী পরিষদ, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।

১৪. আইন বিষয়ক সম্পাদক

(ক) সংগঠনের আইন বিভাগ পরিচালনা করবেন।

(খ) সংগঠনের সদস্যগণ গঠনতন্ত্র মেনে চলছে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।

(গ) সংগঠন কোন আইনসংক্রান্ত নোটিশ পেলে তা সভাপতিকে অবহিত করবেন এবং সমস্যা সমাধানে করণীয় বাস্তবায়নে দায়িত্ব পালন করবেন।

(ঘ) কার্যনির্বাহী পরিষদ, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।

১৫.মহিলা বিষয়ক সম্পাদক

(ক) নারীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সার্বিক উন্নয়নে ক্লাবের করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ প্রদান করবেন এবং এই বিষয়ে ক্লাবের নীতি বাস্তবায়নে কাজ করবেন।

(খ) কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক মহিলা বিষয়ক গৃহীত যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করার দায়িত্ব তার উপর ন্যাস্ত থাকবে।

(গ)  দুস্থ,নিরক্ষর,অসহায়,নির্যাতিত মহিলাদের সংগঠিত করবেন এবং তাদের সম্পর্কে পরিষদকে অবহিত করবেন।

(ঘ) কার্যনির্বাহী পরিষদ, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।

১৬. বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক

(ক) বৃক্ষ রোপন কর্মসূচিসহ ক্লাবের পরিবেশ বান্ধব কর্মসূচি পরিচালনা করবেন।

(খ) দেশে সংঘটিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে পরিষদকে অবগত করবেন।

(গ) পরিবেশ সুরক্ষায় ক্লাবের ভূমিকা সম্পর্কে পরামর্শ প্রদান করবেন এবং গৃহিত কার্যক্রম বাস্তবায়নের ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

(ঘ) কার্যনির্বাহী পরিষদ, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।

১৭. গ্রন্থাগার ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক

(ক) “পুরাপাড়া ইউনিয়ন অনার্স ক্লাব” কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত “পুরাপাড়া বঙ্গবন্ধু গণগ্রন্থাগার” এর পরিচালনা পরিষদের সাথে সার্বিক যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে পাঠাগারের উন্নয়নে কাজ করা এবং পরামর্শ প্রদান করা।

 (খ) “পুরাপাড়া বঙ্গবন্ধু গণগ্রন্থাগার” এর সার্বিক কর্যক্রম এবং উন্নয়নে করণীয় সম্পর্কে প্রতি বছর ডিশেম্বর মাসে একটি বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করবেন।

(গ) দেয়ালিকা, ম্যাগাজিন, লিফলেট, প্যাড ইত্যাদি প্রকাশ করা এবং গ্রন্থনা করা।

(ঘ) পাঠাগার বিষয়ক বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন ও বাস্তবায়নে পাঠাগার পরিচালনা পরিষদের সাথে সমন্বয় করবেন।

(ঙ) বাংলা সাহিত্য উন্নয়নে করণীয় বিষয়াবলী সভায় তুলে ধরবেন।

(চ) কার্যনির্বাহী পরিষদ, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।

 ১৮. জনস্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ক সম্পাদক

(ক) জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা কার্যক্রম জোরদার করা,প্রতি বছর ইউনিয়নের দরিদ্র মানুষের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম পরিচালনার সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

(খ) পুরাপাড়া ইউনিয়ন অনার্স ক্লাব কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত “অনার্স ক্লাব ব্লাড ব্যাংক” এর পরিচালনা এবং উন্নয়নের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করা।

(গ) “সবার জন্য সুস্বাস্থ্য” এই লক্ষ্যকে বাস্তবায়নের অঙ্গীকার নিয়ে ছাত্র সমাজ সহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে স্বাস্থ্য রক্ষা, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রন, মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা, পুরাপাড়া ইউনিয়ন অনার্স ক্লাবের কোন কর্মী অসুস্থ হলে তার চিকিৎসার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন এবং বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজসমূহে ভর্তি ইচ্ছুক সংগঠনের সদস্য তথা ইউনিয়নের শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করা এবং সার্বিক সহযোগিতার ব্যবস্থা করা।

(ঘ) কার্যনির্বাহী পরিষদ, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।

১৯. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক

(ক) তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সভা, সেমিনার, সিম্পজিয়াম আয়োজন, বিভিন্ন প্রকাশনার উদ্যোগ গ্রহণসহ সংগঠনের সদস্যদের জন্য বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির সাম্প্রতিক বিষয়াবলী সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবেন।

(খ) সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে “ কম্পিউটার লিটারেসি” বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহন করবেন।

(গ) শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্র প্রযুক্তি ব্যবহারের সুফলতা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।

(ঘ) কার্যনির্বাহী পরিষদ, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।

 ২০। কৃষি বিষযক সম্পাদক

(ক) কৃষির উন্নয়ন বিষয়ক বিভিন্ন সচেতনামুলক কার্যক্রম পচিালনা করা।

(খ) কৃষি শিক্ষা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান, গবেষক ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথ কিংবা এককভাবে কর্মসূচি পালন ও পরিকল্পনা গ্রহণ। উপজেলা কৃষি অফিসসহ সরকারি প্রতিষ্ঠানের কৃষি বিষয়ক সেবাগুলো ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষকদের কাছে পৌঁছাতে সহযোগিতা করা।

(গ) উন্নত বীজ ব্যবস্থাপনা, সার ও কীটনাশকের সঠিক ব্যবহার বিষয়ক কৃষি সেমিনার বা কৃষক সমাবেশের আয়োজন করা।

(ঘ) কার্যনির্বাহী পরিষদ, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।

২১. নির্বাহী সদস্য

(ক) সাংগঠনিক যেকোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখবেন।

(খ) কার্যনির্বাহী কমিটির সকল কাজে অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা করা সদস্যদের প্রধান কাজ।

(গ) যে কোন সদস্য সংগঠনের স্বার্থে তার মতামত নির্বাহী পরিষদের সভায় উপস্থাপন করতে পারবেন।

(ঘ) বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটিতে থাকা ও কাজ করা।

(ঙ) মাসিক সভায় উপস্থিত থাকা ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে সহায়তা করা।

(চ) কার্যনির্বাহী পরিষদ, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবেন।                         

ধারা- ১৩: কার্যনির্বাহী  পরিষদের কার্যাবলী ও দায়িত্বঃ

(ক) কার্যনির্বাহী পরিষদ সংস্থার সকল ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করবেন এবং প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের সমন্বয় সাধন ও পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবেন।

(খ) কার্যনির্বাহী  পরিষদ উহার সভায় উক্ত সংস্থার যেকোন সদস্যকে বিশেষ কোন দায়িত্ব প্রদানের সিদ্ধান্ত নিবেন বা দায়িত্ব প্রদান করবেন।

(গ) কার্যনির্বাহী  পরিষদ সংস্থার বিভিন্ন প্রকার প্রকল্প গ্রহণ, বাস্তবায়ন ও অর্থ সংস্থানের ব্যবস্থা নিবেন।

(ঘ) কার্যনির্বাহী পরিষদের কোন সিদ্ধান্ত সংস্থার মোট কার্য্নির্বাহী পরিষদের সদস্যদের নূন্যতম  (দুই তৃতীয়াংশ) অংশের সংখ্যাগরিষ্ট সদস্য কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে।

(ঙ) কার্যনির্বাহী পরিষদ প্রতিষ্ঠানের তদারকী/ তত্বাবধান, সংগঠনের নিয়ম শৃঙ্খলা সংরক্ষণ, সদস্য আহরণ, বাতিল ইত্যাদি ব্যাপারে দায়িত্ব পালন করবেন এবং সমাজকল্যাণমূলক কাজের তদারকির দায়িত্ব পালন করবেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিবেন।

(চ) কার্যনির্বাহী পরিষদ আইনগত ভাবে কোন সদস্যের সদস্যপদ বাতিল করিতে বা নতুন সদস্য গ্রহণ করতে পারবেন। তবে সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক অনুমোদন করবেন।

(ছ) কার্যনির্বাহী পরিষদ সকল প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করবেন ও সংস্থার সকল প্রকার কার্যাবলী সম্মন্ধে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ব্যাপারে পূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী হবে।

(জ) সংস্থার বার্ষিক বাজেট প্রণয়ন পূর্বক উহা বার্ষিক সাধারণ সভায় অনুমোদনের জন্য পেশ করবে।

(ঝ) সংস্থার তথা এলাকার স্বার্থে এবং শান্তি শৃঙ্খলার ব্যাপারে যে কোন আইনগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। তবে উহা সাধারণ সভায় অনুমোদিত হতে হবে।

(ঞ) যে কোন কার্য সম্পাদনের জন্য কার্যনির্বাহী  পরিষদ বিভিন্ন উপ-কমিটি/ সাব-কমিটি গঠন করতে পারবে।

(ট) নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ করা।

ধারা- ১৪:  সাধারণ পরিষদের ক্ষমতা ও দায়িত্বঃ

(ক) সংস্থার স্বার্থে সাধারণ পরিষদ যে কোন বৈধ সিদ্ধান্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন এবং গৃহীত সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত বলে গন্য হবে। প্রতিষ্ঠাতা সদস্যসহ সাধারণ সদস্য কর্তৃক কার্য্যনির্বাহী পরিষদ গঠিত হবে।

(খ) এই সংস্থার নিবন্ধীকরণের ১৮ (আঠার) মাসের মধ্যে বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে।

(গ) সংস্থার সাধারন পরিষদ কর্তৃক নিযুক্ত বা মনোনীত কর্মী পর্যবেক্ষক হিসেবে কার্যনির্বাহী পরিষদের বা অন্যান্য সভায় উপস্থিত থাকতে পারবেন, কিন্তু তাদের কোন ভোটাধিকার থাকবে না।

(ঘ) গত সাধারণ সভার কার্যবিবরণী পাঠ ও অনুমোদন করা।

(ঙ) সর্বপ্রকার রিপোর্ট পেশ ও আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহন।

(চ) উপ বিধি সংশোধন (যদি থাকে)    

(ছ) মুলতবি প্রস্তাব/ বিবিধ।

(জ) সংস্থার যে কোন গুরুত্বপূর্ন বিষয়ে কার্যনির্বাহী  পরিষদকে সাধারণ পরিষদের মতামত গ্রহণ করতে হবে।

(ঝ) কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য নির্বাচনে সাধারন পরিষদ দায়িত্ব পালন করিবেন।

ধারা- ১৫: বিভিন্ন প্রকার সভা ও সভার নিয়মাবলীঃ

(ক) সাধারণ সভা

(খ) কার্যনির্বাহী  পরিষদের সভা

(গ) জরুরী সভা

(ঘ) বিশেষ সাধারণ সভা

(ঙ) মূলতবী সভা

(চ) তলবী সভা

  • সাধারণ সভা

কমপক্ষে বছরে একবার সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে এবং উহা বার্ষিক সাধারণ সভা রূপে গন্য হবে। তবে বিশেষ জরুরী প্রয়োজনে বিশেষ সাধারণ সভাও আহবান করা যাবে। সাধারণ সভায় নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অনুমোদন লাভ করবে। সাধারণ সভা ১৫ (পনের) দিনের নোটিশে সময়, তারিখ ও স্থান উল্লেখ করে আহবান করা হবে।

১। প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক প্রতিবেদন।

২। বার্ষিক বাজেট ও হিসাব।

৩। বার্ষিক সাধারন সভায় সংস্থার আয় ব্যয়ের অভ্যন্তরীণ অডিটের জন্য অডিটর মনোনয়ন করা।

৪। সংস্থার গঠনতন্ত্রের ধারা, উপ-ধারা পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংযোজন।

৫। সভার সিদ্ধান্ত মোট সদস্যের নূন্যতম  অংশের উপস্থিতিতে কোরাম পূর্ন হবে। কোরাম পূর্ন সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের প্রস্তাব সভার সিদ্ধান্ত হিসেবে গৃহীত হবে।

  • কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা

১। বৎসরে কমপক্ষে কার্যনির্বাহী  পরিষদের ৪টি সভা অনুষ্ঠিত হবে।

২। নূন্যতম ৩ দিন পূর্বে সময়, তারিখ ও স্থান উল্লেখপূর্বক সভার নোটিশ জারী করিতে হবে। নূন্যতম   অংশ কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যদের উপস্থিতিতে কোরাম পূর্ন হবে। কোরাম পূর্ন সভার সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের প্রস্তাব সভার সিদ্ধান্ত হিসেবে গৃহীত হবে।

  • জরুরী সভা

জরুরী সভা ৩ (তিন) দিনের নোটিশে সময়, তারিখ ও স্থান উল্লেখ করে আহবান করা যাবে। মোট সদস্যদের নূন্যতম   (দুই তৃতীয়াংশে) এর উপস্থিতিতে কোরাম পূর্ন হবে। কোরাম পূর্ন সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের প্রস্তাব সভার সিদ্ধান্ত হিসেবে গৃহীত হবে।

  • বিশেষ সাধারণ সভা

যে কোন বিশেষ কারণে সাধারণ সভা ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে নোটিশে আহবান করা যাবে। তবে এ সভায় বিশেষ এজেন্ডা ছাড়া অন্য কোন বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। বিশেষ এজেন্ডার উদ্দেশ্য লিপিবদ্ধ করে যথারীতি নোটিশ প্রদান করতে হবে। মোট সদস্যের নূন্যতম   (দুই তৃতীয়াংশ) এর উপস্থিতে কোরাম পূর্ন হবে। কোরাম পূর্ন সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের প্রস্তাব সভার সিদ্ধান্ত হিসেবে গৃহীত হবে।

  • মূলতবী সভা

১।কোরামের অভাবে মূলতবী সাধারণ সভা মূলতবীর তারিখ থেকে পরবর্তী ২১ (একুশ) দিনের মধ্যে  সম্পন্ন করতে হবে। মূলতবী সভার তারিখ হতে ৭ (সাত) দিনের মধ্যে নোটিশ জারী করতে হবে। অনুষ্ঠিত সভার গৃহীত সিদ্ধান্ত মোট সাধারণ পরিষদ সদস্যদের নূন্যতম   (দুই তৃতীয়াংশ) এর সিদ্ধান্তক্রমে চূড়ান্ত বলে গন্য হবে।

২।কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা ৩ (তিন) দিনের নোটিশে কোরামের অভাবে মূলতবী হলে দ্বিতীয়বার ৩ (তিন) দিনের নোটিশে অনুষ্টিত সভার কোরাম পূর্ণ না হলেও যত জন সদস্য উপস্থিত থাকবেন তাদের নিয়েই মূলতবী সভা অনুষ্ঠিত হবে এবং সভার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গন্য হবে।

  • তলবী সভা

১। গঠনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক সংস্থার সভা আহবান না করলে কমপক্ষে মোট সদস্যদের নূন্যতম  (দুই তৃতীয়াংশ) সদস্য- একজন আহবায়ক মনোনীত করে বিশেষ সাধারণ সভার কর্মসূচীর এজেন্ডা বা উদ্দেশ্য ব্যক্ত করে স্বাক্ষর দান করতঃ তলবী সভার আবেদন সংস্থার সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদকের কাছে জমা দিতে পারবেন।

২। সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক তলবী সভার আবেদন প্রাপ্তির ২১ (একুশ) দিনের মধ্যে তলবী সভার আহবান করবেন। তলবী সভার আবেদন প্রাপ্তির ২১ (একুশ) দিনের মধ্যে সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক তলবী সভা আহবান না করলে ২১ (একুশ) দিনের মেয়াদ উর্ত্তীনের তারিখ হতে পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে ১৫ (পনের) দিনের নোটিশে সাধারন সদস্যগন আহবায়কের নের্তৃত্বে তলবী সভা আহবান করতে পারবেন। মোট সদস্যের   (দুই তৃতীয়াংশ) এর উপস্থিেিততে কোরাম পূর্ন হবে। কোরাম পূর্ন সভার সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের প্রস্তাব সভার সিদ্ধান্ত হিসেবে গৃহীত হবে। তলবী সভা সংস্থার কার্যালয়ে আহবান করতে হবে।

ধারা- ১৬- নির্বাচন পদ্ধতিঃ

(ক) কার্যনির্বাহী পরিষদ :  সাধারণ সদস্যবৃন্দের প্রস্তাবনা, সমর্থন এবং প্রয়োজন হলে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচিত হবে। কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করে ১ (এক) মাসের মধ্যে নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের নিকট হতে অনুমোদন গ্রহন করতে হবে। নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের পরেই নির্বাচিত কমিটি চূড়ান্ত বৈধতা লাভ করবে।

(খ) মেয়াদ : নির্বাচিত বা মনোনীত হওয়ার দিন হতে পরবর্তী দুই বছর মেয়াদ পর্যন্ত কার্যনির্বাহী পরিষদের মেয়াদকাল বলবৎ থাকবে।

ধারা- ১৭ নির্বাচন কমিশনঃ

নির্বাচন প্রয়োজন হলে সংগঠনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না বা সংস্থার সদস্য নন এমন ৩ (তিন) জন বিশিষ্ট ব্যক্তির সমন্বয়ে ১ জন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ২ জনকে সদস্য করে কার্যকরি পরিষদ কর্তৃক ৩ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। প্রয়োজনে নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। নির্বাচনের পর নির্বাচন কমিশন বিলুপ্ত হবে।

ধারা- ১৮: ভোটের প্রণালীঃ

এক ব্যক্তি একটি পদে একটি করে ভোট প্রদান করবেন এবং কোন প্রতিনিধির মাধ্যমে ভোট দেওয়া যাবে না। নির্বাচনের ৩০ (ত্রিশ) দিন পূর্বে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করবেন। নির্বাচন বিষয়ে কমিশন কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।

ধারা- ১৯: বৈদেশিক সাহায্য/ অনুদান বিষয়কঃ

সংস্থাটির বৈদেশিক সাহায্য/ অনুদান গ্রহণের ক্ষেত্রে ১৯৭৮ সালের ফরেন ডোনেশন অধ্যাদেশ বিধি বিধান প্রতিফলন করবে। বৈদেশিক সাহায্য/ অনুদান গ্রহণের পর সংস্থাটি সরকারের যে কোন একটি সিডিউল ব্যাংকে একটি মাত্র হিসাব পরিচালনা করবে।

ধারা- ২০ অডিটঃ

(ক) প্রতি ১ বৎসর পর পর সংস্থার সকল আয় ও ব্যয় সমাজসেবা অফিসার অথবা সরকার অনুমোদিত কোন অডিট ফার্ম দ্বারা অডিট করতে হইবে। বার্ষিক অডিট প্রতিবেদন নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করা হবে।

(খ) সংস্থার আয় ব্যয় নিরীক্ষার জন্য একটি অভ্যান্তরীন নিরীক্ষা কমিটি গঠন করা হবে। সংস্থার কার্যনির্বাহী পরিষদ সাধারণ সদস্যদের মধ্যে থেকে ৩ (তিন) সদস্য বিশিষ্ট নিরীক্ষা কমিটি গঠন করবে। প্রতি আর্থিক বছরে অভ্যান্তরীন নিরীক্ষা কমিটি সংস্থার আয় ব্যয় নিরীক্ষা করবে। প্রয়োজনে কার্যনির্বাহী পরিষদ অভ্যন্তরীন নিরীক্ষা কমিটির সদস্য রদবদল করতে পারবে।

ধারা- ২১: লোক/ জনবল নিয়োগঃ

সংস্থার কর্মসূচী ও প্রকল্প বাস্তবায়নকল্পে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের জন্য কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক ৩ (তিন) সদস্য বিশিষ্ট একটি নিয়োগ বোর্ড গঠন করা হবে। লোক নিয়োগের পূর্বে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারী করা হবে। লোক নিয়োগের জন্য চাকুরী প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হবে। নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে লোক/ জনবল নিয়োগ করা হবে। লোক নিয়োগে কোন ব্যাংক ড্রাফট্ ও জামানত গ্রহণ করা হবে না।

ধারা- ২২ গঠনতন্ত্রের সংশোধনঃ

গঠনতন্ত্রের কোন ধারা সংশোধন, সংযোজন ও পরিবর্তন, পরিবর্ধন করতে হলে সাধারণ সভায় মোট সদস্যের নূন্যতম   (দুই তৃতীয়াংশ) সদস্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে/ সমর্থনের মাধ্যমে তা গৃহীত হবে এবং নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনে তা কার্যকর হবে।

ধারা- ২৩ বিধি ও আইনের প্রাধান্যঃ

অত্র গঠনতন্ত্রের যা-কিছু উল্লেখ থাকুক না কেন উক্ত সংস্থাটি ১৯৬১ সনের ৪৬নং অধ্যাদেশের আওতায় এবং দেশের প্রচলিত আইনানুযায়ী ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমোদনক্রমে সকল কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

ধারা ২৪: সংগঠনের শাখা/সহযোগী সংগঠনঃ

“পুরাপাড়া ইউনিয়ন অনার্স ক্লাব” কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত “পুরাপাড়া বঙ্গবন্ধু গণগ্রন্থাগার” এবং ”অনার্স ক্লাব ব্লাড ব্যাংক” এর ন্যায় বা শিক্ষা, সংস্কৃতি, মানবিকতার  উন্নয়নকল্পে ক্লাব একাধিক শাখা সংগঠন প্রতিষ্ঠা/গঠন করতে পারবে। ক্লাব কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত সকল শাখা সংগঠনের উপর “পুরাপাড়া ইউনিয়ন অনার্স ক্লাব” এর পূর্ণ কতৃত্ব বজায় থাকবে এবং সেগুলো অবশ্যই ক্লাবের আদর্শ ও উদ্দেশ্যের আলোকে পরিচালিত হবে। শাখা সংগঠনগুলোর প্রতিষ্ঠা, পরিচালনা, পরিচালনা পরিষদ গঠন, পরিবর্তন এবং বিলুপ্তির ক্ষেত্রে  “পুরাপাড়া ইউনিয়ন অনার্স ক্লাব” এর পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।

ধারা- ২৫:  সংস্থার বিলুপ্তিঃ

আমরা আশাকরি প্রাকৃতিক কারণ ব্যতিত “পুরাপাড়া ইউনিয়ন অনার্স ক্লাব” কখনোই বিলুপ্ত হবে না, বরং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে এই ক্লাব মানুষের আর্থ-সামাজিক এবং মানবিকতার উন্নয়নে কাজ করে যাবে, ইনশাল্লাহ। তারপরও যদি কোন অপ্রত্যাশিত/অনিবার্য কারণে সংস্থার বিলুপ্তির প্রশ্ন ওঠে, তবে সংস্থার সকল দায়দেনা কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক পরিশোধ করত:  ন্যূনতম  (তিন পঞ্চামাংশ) সাধারণ সদস্যের সিদ্ধান্তক্রমে বিলুপ্ত ঘোষণা করা যাবে।

                                                                       ****************************সমাপ্ত*************************